বরিশালে এনসিপির সভায় হাতাহাতি
২০ মার্চ ২০২৫ ২৩:৪২
বরিশাল: বরিশালে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় হাতাহাতি এবং বিশৃঙ্খলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এনসিপির এক মতবিনিময় সভা শেষে এ ঘটনা ঘটে। কর্মীদের মূল্যায়ন না করা এবং জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সেখানে স্লোগান দেন দলটির সমর্থকদের একাংশ।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে চাইলে আটকে দেওয়া হয় জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহর।
জানা গেছে, পটুয়াখালী ও দুমকির কর্মসূচি শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ বরিশালে এসে পৌঁছান নাহিদ। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী প্রোগ্রাম চলার একপর্যায়ে সভাস্থলে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ। তারা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলা এবং বৈঠকের দাবি জানান। তাৎক্ষণিক উপস্থিত অন্যরা তাদেরকে শান্ত করলেও কর্মসূচি শেষে নাহিদ ইসলাম চলে যাওয়ার উদ্যোগ নিলে তারা তাকে ঘিরে ধরেন। এরপর আবার তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সভাকক্ষে। এ সময় মিলনায়তনে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুটি পক্ষ। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাক্কা-ধাক্কি হাতাহাতিও হয়।
আরও জানা যায়, বর্তমানে বরিশালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলা হয় সেখানে। বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কথা বলতে চাইলে বাধা দেওয়া এবং মেয়েদের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগও করা এ সময়। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে এমন পরিস্থিতি চলার পর আবারও সভাস্থল ত্যাগ করার চেষ্টা করেন নাহিদ। এ সময় ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান তোলার পাশাপাশি তার গাড়ি আটকে দেয় বিক্ষুদ্ধরা। পরে বহু কষ্টে বাধা এড়িয়ে নাহিদ ইসলামকে গাড়িতে তুলে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করিয়ে দেন এনসিপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
সভায় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, যুগ্ম মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণ) ডা. মাহমুদা আলম মিতুসহ বরিশাল জেলা এবং মহানগরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মহানগরের একাধিক সদস্য অভিযোগ করে বলেন, আন্দোলনের সাত মাস হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতারা বরিশালে এসে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেনি। তারা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে মিটিং করেন। বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম সাহেদ ও জেলার সদস্য সচিব ওয়াহিদুর রহমানসহ আরও কিছু লোক আছে আমরা তাদের পদত্যাগ দাবি করছি। কেননা তারা কর্মীদের খোঁজখবর নেয় না।
খবর পেয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ, ডিবি এবং এপিবিএন সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় হওয়ায় তাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
সারাবাংলা/এইচআই
এনসিপির সভায় হাতাহাতি জাতীয় নাগরিক পার্টি নাহিদ ইসলাম বরিশাল হাতাহাতি