৫ লাখ ৩০ হাজার অভিবাসীর বৈধতা বাতিল করতে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন
২২ মার্চ ২০২৫ ০৯:১২ | আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৫ ১২:০৭
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ঘোষণা করেছে যে তারা কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া ও ভেনেজুয়েলা থেকে আসা ৫ লাখ ৩০ হাজারের বেশি অভিবাসীর অস্থায়ী বৈধ মর্যাদা বাতিল করবে।
ফেডারেল সরকারের প্রকাশিত এক নোটিশে বলা হয়েছে, এসব অভিবাসীকে ২৪ এপ্রিলের আগে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অন্যথায় তাদের পারমিট ও বহিষ্কার সুরক্ষা বাতিল করা হবে।
এই অভিবাসীদের বাইডেন প্রশাসনের সময় চালু হওয়া চিএইচএনভি স্পনসরশিপ প্রক্রিয়ার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে আনা হয়েছিল, যা বৈধ অভিবাসনের পথ উন্মুক্ত করার জন্য চালু করা হয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পরই এই কর্মসূচি স্থগিত করেন।
এখনও পরিষ্কার নয় যে এই অভিবাসীদের কতজন তাদের থাকার জন্য অন্য কোনো বৈধ মর্যাদা অর্জন করতে পেরেছেন।
২০২২ সালে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই কর্মসূচি চালু করেছিলেন, যা প্রথমে শুধুমাত্র ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের জন্য প্রযোজ্য ছিল, পরে তা অন্যান্য দেশেও সম্প্রসারিত হয়। এই কর্মসূচির আওতায়, যুক্তরাষ্ট্রে কোনো স্পনসর থাকলে অভিবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা দুই বছরের জন্য পারোল সুবিধার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারতেন।
বাইডেন প্রশাসন দাবি করেছিল যে সিএইচএনভি কর্মসূচি অবৈধ সীমান্ত পারাপার কমাতে এবং অভিবাসীদের যথাযথ যাচাই করতে সহায়ক হবে। তবে, শুক্রবার (২১ মার্চ) হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা করে জানিয়েছে যে এই কর্মসূচি তার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।
বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাইডেন প্রশাসন অভিবাসীদের মার্কিন চাকরির প্রতিযোগিতার সুযোগ দিয়েছে এবং স্থানীয় কর্মীদের বিপদে ফেলেছে। এছাড়াও, তারা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেরকে এই কর্মসূচিকে এগিয়ে নিতে বাধ্য করেছে, এমনকি যখন সেখানে জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়েছে, এবং এরপর কংগ্রেসের রিপাবলিকানদের ওপর এর দায় চাপিয়েছে।
তবে, ফেডারেল রেজিস্টারে প্রকাশিত ৩৫ পৃষ্ঠার নোটিশে বলা হয়েছে, কিছু অভিবাসী ‘কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে’ যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি পেতে পারেন।
সারাবাংলা/এনজে