বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি
২৩ মার্চ ২০২৫ ১১:৩৫ | আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫ ১৩:৩৮
দুর্নীতি ও একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সহায়তাসহ বিভিন্ন অভিযোগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ও ইস্তাম্বুল নগরীর মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গ্রেফতারের ঘটনায় উত্তাল তুরস্ক।
ইস্তাম্বুলের এই মেয়রকে গত বুধবার (১৯ মার্চ) কর্তৃপক্ষ গ্রেফতার করায় দেশটির প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) বলেছে, এটি ‘আমাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান’।
রাজধানী আঙ্কারাসহ তুরস্কজুড়ে বিক্ষোভের অভিযোগে অন্তত ৩৪৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ২২ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে তুরস্কের ক্ষমতায় আছেন রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। ক্ষমতার মেয়াদ নিয়ে আইনি বাধা থাকায় সংবিধান পরিবর্তন ছাড়া ২০২৮ সালে আর প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারবেন না তিনি।
আগামী নির্বাচনে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সম্ভাব্য প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এই মেয়রকে গ্রেফতারের পর তার মুক্তির দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন সমর্থকরা।
দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়নের অভিযোগে ইস্তাম্বুলের এই মেয়রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশটির আগামী ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোগানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ইমামোগলুর নাম ঘোষণার কয়েক দিন আগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এক বক্তৃতায় গত শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, তার সরকার ‘‘ভাঙচুর’’ কিংবা ‘‘রাস্তার সন্ত্রাসের’’ কাছে ‘‘আত্মসমর্পণ’’ করবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা জনসাধারণের শৃঙ্খলায় কোনও ব্যাঘাত ঘটানো হলে তা মেনে নেব না।’
এদিকে বিক্ষোভকারীরা মেয়রের গ্রেফতারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে তার দ্রুত মুক্তি এবং এরদোগানের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন।
দেশটিতে গত তিন দিন ধরে চলা এই বিক্ষোভকে ২০১৩ সালের সরকারবিরোধী আন্দোলনের পর সবচেয়ে বড় আন্দোলন বলে দাবি করেছেন বিরোধীরা। সরকারবিরোধী এই বিক্ষোভ সামলাতে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সর্বশেষ গত বুধবার ইস্তাম্বুলের মেয়রকে গ্রেফতার করা হয়। তার গ্রেফতারের ঘটনায় দেশজুড়ে সরকারবিরোধী তীব্র বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর শুক্রবার ইস্তাম্বুলে ডাক দেওয়া বিক্ষোভ-প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দাঙ্গা পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও পিপার গ্যাস নিক্ষেপ করে।
সারাবাংলা/ইআ