ঢাকা: থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে আগামী ২ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বঙ্গপোসাগরীয় সহযোগী সংস্থা বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলন। এতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও। এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের দুই নেতার বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
বুধবার (১৯ মার্চ) ইউনূসের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ভারতকে একটি কুটনৈতিক পত্র দিয়েছে। তবে তাদের মধ্যে আদৌ বৈঠকটি হবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত করেনি ভারত।
শনিবার (২২ মার্চ) নয়াদিল্লিতে সংসদীয় প্যানেলের একটি বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, বৈঠক আদৌ অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত না। তবে বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, পাকিস্তানের অসহযোগিতার কারণে আঞ্চলিক সহযোগী সংস্থা সার্ক অকার্যকর হয়ে পড়ে আছে। সেজন্য বিমসটেককে গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত। বাংলাদেশ ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত। আগামী এপ্রিলে শ্রীলঙ্কায় মোদির সফর করার কথা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলনে মোদির সঙ্গে ইউনূসের বৈঠকের জন্য একটি পত্র পাঠানো হয়েছে। পত্রের কোন জবাব এখনো পাওয়া যায়নি।
এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তবে সে সময় তাদের বৈঠক হয়নি। এবার ব্যাংককে বৈঠক হলে এটিই হবে অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে ভারতের শীর্ষ পর্যায়ের প্রথম বৈঠক।