সেনাবাহিনী পক্ষে ছিল বলেই হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে: রিজভী
২৩ মার্চ ২০২৫ ২১:১৩ | আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫ ২৩:৩৮
ঢাকা: সেনাবাহিনী পক্ষে ছিল বলেই হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে— এমনটিই মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার (২৩ মার্চ) বিকেলে নয়াপল্টনে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)-এর উদ্যোগে পথচারী ও প্রান্তিক মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০ সালের গণআন্দোলনে এবং ২০২৪ সালের গণ অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনী দেশের পক্ষে ছিল। তারা জনগণের পক্ষে থাকার কারণেই ২৪-এর আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে এবং ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে। তাই এই প্রতিষ্ঠানকে মর্যাদা দিতে হবে, সম্মান দেখাতে হবে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। দেশ ফ্যাসিস্টমুক্ত হয়েছে। এখন আমাদের সবাইকে সহনশীল হতে হবে। গণতন্ত্রকে মজবুত ও শক্তিশালী করার জন্য সামনে যে কাজ আছে, অর্থাৎ অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন, একটি ন্যায় বিচারভিত্তিক সমাজ, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা— এই কাজগুলো আমাদের করতে হবে। আমাদের সংগ্রাম হচ্ছে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, আমাদের সংগ্রাম হচ্ছে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। তাই আলোচনা কথা-বার্তায় এমন সহনশীল দেখাতে হবে; যাতে রাষ্ট্রের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে সেসব প্রতিষ্ঠানে যেন কোনো ক্ষতি না হয়। ৭১ সালে আমাদের দেশের সেনাবাহিনী এদেশের জনগণের সঙ্গে ছিল এবং সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সবসময় দেশের জনগণের পক্ষে কাজ করেছে।’
রিজভী বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তনের কোনো পথ যাতে না থাকে, সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজগুলো আমাদের করতে হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল ছাত্র-জনতা— প্রত্যেকে একযোগে কাজ করতে হবে। গণতন্ত্রের কাঠামো আরও মজবুত করতে হবে। শক্তিশালী গণতন্ত্র আমাদেরকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রতিটি নাগরিক যেন তার প্রাপ্য স্বাধীনতা পায় এরকম একটা রাষ্ট্র কাঠামো তৈরি করতে হবে।’
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম