ঢাকা: রাজধানীর পৃথক স্থানে কলেজ শিক্ষার্থীসহ দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তারা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ ও স্বজনরা জানান।
মৃতরা হলেন, আজিমপুর নিউ পল্টন লাইন এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী বেনজির আহমেদ রোজ (১৯) ও কামরাঙ্গিরচড়ের সমিল কর্মচারি আরিফ হাওলাদার (৩০)।
বৃহস্পতিবার (২৭মার্চ) সকাল ৯টার দিকে কামরাঙ্গীরচর মাদরাসা ঘাট মহিউদ্দিনের সমিলে গলায় ফাঁস দেয় আরিফ। দেখতে পেয়ে সহকর্মীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে বেলা বারোটার দিকে তাকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে, বুধবার (২৬ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর আজিমপুর নিউ পল্টন লাইনের একটি বাসায় বেনজির আহমেদ রোজ (১৯) নামে এক কলেজছাত্র গলায় ফাঁস দেয়। দেখতে পেয়ে স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসলে রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত রোজের মামা মিজানুর রহমান জানান, তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা উপজেলার শাসনগাঁও গ্রামে। রোজের বাবার নাম বশির আহমেদ শিশির, বর্তমানে আজিমপুর নিউ পল্টন অনলাইন এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থেকে মুন্সি আব্দুর রউফ স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা করত।
লালবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসাইন বলেন, রাতে খবর পেয়ে আজিমপুরের ওই বাসায় গেলে দেখতে পাই ওই শিক্ষার্থী সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। পরে তাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
এসআই আরও জানান, ওই শিক্ষার্থীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এক মাস আগে পরিবারের অমতে এক ছেলেকে বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকদের সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না। তাই সে তিনদিন আগে আজিমপুরের বাসায় চলে আসে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে আরিফের সহকর্মী মো. রাসেল জানান আরিফের বাড়ি পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠী উপজেলায়। সে কামরাঙ্গীরচর মাদ্রাসা ঘাট মহিউদ্দিনের টিম্বার এন্ড স্বমিলে কাজ করতো। সকালে সমিলের ভিতরে ফ্যানের সাথে গলায় গামছা পেছিয়ে ফাঁস দেয় আরিফ। দেখতে পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক আরিফের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।