শেষ মুহূর্তে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ, স্বাভাবিক গতিতে চলছে গাড়ি
২৯ মার্চ ২০২৫ ১১:৩৭ | আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৫ ১৪:১২
টাঙ্গাইল: ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগ করে নিতে শেষ মুহূর্তে বাড়ি ফিরছে উত্তরবঙ্গের ঘরমুখো মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। সড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও নেই যানজট। স্বাভাবিক গতিতেই চলছে যানবাহন। প্রচণ্ড রোদে যানবাহনে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ, নারী ও পুরুষ।
যমুনা সেতু ওপর দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা।
ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা বাস স্টেশন, রাবনা বাইপাস, আশেকপুর বাইপাস ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। ঘরমুখো মানুষ যাত্রীবাহী বাস ছাড়াও ট্রাক, পিকআপ, বিভিন্ন সড়কের লোকাল বাস, লেগুনায় যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। মহাসড়কে বাসের চেয়ে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলেই বেশি দেখা গেছে।
রুহুল আমিন নামের এক যাত্রী বলেন, বাড়ি যেতে আমাদের বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। এলেঙ্গা পর্যন্ত এলাম ভালো ভাবেই। গাড়ি স্বাভাবিক গতিতেই চলতেছে। পরিবহন সংকটের জন্য অনেকেই ট্রাক ও পিকআপে বাড়ি যাচ্ছেন।
হৃদয় নামে এক যাত্রী বলেন, আমি বগুড়া যাব। ঢাকা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত এলাম কোনো যানজট পাইনি। স্বস্তিতেই বাড়ি যাচ্ছি।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দিনগত রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৯০ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫০ টাকা।
শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যমুনা সেতু সাইট অফিসর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল আরও জানান, ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর দুই পাশে ৯টি করে মোট ১৮ বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এছাড়া দুইপাশেই মোটরসাইকলের জন্য আলাদা দুটি করে বুথ রয়েছে। এতে নির্বিঘ্নে মানুষ যাতায়াত করতে পারছে। গত ২৪ ঘণ্টা ৯ হাজার ১৬৩টি মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষকে স্বস্তি দিতে সাড়ে ৭০০ পুলিশ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়োজিত এবং জেলা পুলিশের প্রতিটি সদস্য তীব্র গরমকে উপেক্ষা করতে মহাসড়কে পরিশ্রম করছে।
সারাবাংলা/ইআ