রেকর্ড রেমিট্যান্সে রিজার্ভ বেড়ে ২৫.৪৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত
২৯ মার্চ ২০২৫ ২১:২৫ | আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৫ ২৩:১১
ঢাকা: পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে চলতি মার্চে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। ঈদ ও রমজানকে কেন্দ্র করে প্রবাসীরা রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। চলতি মার্চের প্রথম ২৬ দিনে ২৯৪ কোটি ডলার বা ৩৫ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা প্রবাসী আয় এসেছে। এর মধ্যে শেষ দুই দিনে এসেছে ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারের আয়। প্রথমবারের মতো ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আর এই রেকর্ড রেমিট্যান্সে দেশের বৈদেশিক রিজার্ভ বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৭ মার্চ পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রোস রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এখনো ১৫ বিলিয়নের ঘরে রয়েছে।
এর আগে গত ৯ মার্চ আকুর বিল পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার নেমে এসেছে। বিপিএম-৬ ১৯ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার হয়। এরপর রমজান মাসে রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও রফতানি আয় ইতিবাচক থাকায় রিজার্ভ বাড়ছে।
মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়। তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, তা হলো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ এর হিসাব করা হয়।
সূত্র জানায়, দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলার। প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামে। সে সময় বৈদেশিক ঋণ ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কেনার মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়ানো হয়। আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন গভর্নর এসে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছে।
সারাবাংলা/জিএস/আরএস