Tuesday 01 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৩০ মার্চ ১৯৭১
সাঁওতাল-বাঙালিরা সম্মিলিতভাবে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩০ মার্চ ২০২৫ ০৮:০০ | আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫ ০৮:০৭

৩০ মার্চ ১৯৭১। ছবি কোলাজ: সারাবাংলা

ঢাকা: ১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে চট্টগ্রাম স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি ও সাহায্য প্রদানের জন্য বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক সরকার ও জনগণের প্রতি আবার আবেদন জানায়।

এদিন রাতে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে সদ্য প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তানি বিমানবাহিনী। তাতে ট্রান্সমিশন অ্যান্টেনাসহ ভবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তবে কেউ হতাহত হননি। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এদিন চট্টগ্রাম শহরকে বিভিন্ন দিকে থেকে ঘিরে ফেলে এবং বোমাবর্ষণ করে।

বিজ্ঞাপন

রংপুরে এদিন পাকিস্তানি সেনারা সেনানবিাস থেকে বেরিয়ে শহর-গ্রামে নির্বিচারে গুলি চালায়। জ্বালিয়ে দেয় বাড়ি-ঘর। ২৮ মার্চে রংপুর শহর ও সেনানিবাসের পাশের এলাকার বাঙালি ও সাঁওতালদের যে সেনাছাউনি আক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল, তার প্রতিশোধ নিতেই এই বর্বরতা।

৩০ মার্চ নাটোরের লালপুরে ‘ময়নার যুদ্ধে’ হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে সাঁওতাল ও বাঙালিরা সম্মিলিতভাবে। সেটি ছিল সম্মুখযুদ্ধ।

এদিন রাজশাহীর গোপালপুর রেল ক্রসিংয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও জনতার সঙ্গে পাকিস্তানি বাহিনীর লড়াই ছিল প্রতিরোধ যুদ্ধের অন্যতম ঘটনা। সেই লড়াইয়ে ছয়টি ট্রাক ও একটি জিপসহ বিপুল অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর সম্পূর্ণ সেনাদল ধ্বংস হয়। চিনিকলের কর্মীরা এই প্রতিরোধে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন।

নোয়াখালীতে যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা ৪০ জন পাকিস্তানি সেনাকে বন্দি করে এবং প্রচুর গোলাবারুদ ও অস্ত্র দখল করে। সেসব যুদ্ধ সরঞ্জাম পরে শুভপুর যুদ্ধে কাজে লাগে।

বিজ্ঞাপন

মেজর আবু ওসমানের নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধারা চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ায় পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে তুমুল যুদ্ধ করে। হানাদার বাহিনী দামুড়হুদা, আলমডাঙ্গা, ঝিনাইদহের পালাতে থাকে। ২৫৬ জন পাকিস্তানি সেনা সদস্য নিহত হয়।

এদিন বিকেল ৫টার দিকে মতিন পাটোয়ারীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনস দখল করেন। প্রথমে আত্মরক্ষা, তারপর প্রস্তুতি এবং সবশেষে পাল্টা আক্রমণের পর্যায়ক্রমিক লক্ষ্য স্থির করে তাজউদ্দীন আহমদ ফরিদুপর, কুষ্টিয়া হয়ে সীমান্তে পৌঁছান।

কুষ্টিয়ার তৎকালীন এমএলএ আশহাবুল হক টেলিফোনে অজয় কুমার মুখোপাধ্যায়ের (পশ্চিম বাংলার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী) সঙ্গে কথা বলেন। তারও আবেদন ছিল- আপনারা অবিলম্বে সাহায্য পাঠান। কুষ্টিয়া মিলিটারি ব্যারাক চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলে পাকিস্তানি সৈন্যদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।

এদিকে ফ্রান্সে পাকিস্তানি জাহাজ থেকে পাকিস্তান নৌবাহিনীর আটজন বাঙালি নৌসেনা পক্ষত্যাগ করে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেন।

সারাবাংলা/এফএন/পিটিএম

গড়ে তোলে টপ নিউজ প্রতিরোধ সম্মিলিতভাবে সাঁওতাল-বাঙালি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর