দিনাজপুরে ৬ উপজেলায় ঈদ উদযাপন
৩০ মার্চ ২০২৫ ১১:৩৫ | আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫ ১৩:৫৯
দিনাজপুর: প্রতি বছরের মতো এবারও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুরে ছয় উপজেলায় রোববার (৩০ মার্চ) ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিদের একটি অংশ। তারা প্রতি বছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একইদিনে রোজা শুরু, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার নামাজ আদায় ও কোরবানি করেন।
দিনাজপুর শহরের দিনাজপুর শহরের বাসুনিয়া পট্টি পার্টি সেন্টারে, চিরিরবন্দর উপজেলার রাবার ড্যাম এলাকা, বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়রা গ্রামের নুরুলহুদা মাদ্রাসা মাঠ ও ৬ জোদবানি ইউনিয়নের খয়েরবাড়ী আমগাছি ঈদগা মাঠ, নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের রাঘবেন্দপুর বাজার মাদ্রাসা মাঠ, কাহারোল উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গোরস্থান ঈদগাঁ মাঠ, বিরল থানাধীন ধর্মপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামে বনগাঁও জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নাজম আদায় করে কয়ে শতাধিক পরিবার।
এদিন সকাল ৯টায় দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলায় সাইতাঁড়া ইউনিয়নের রাবারড্যাম চিরিনদী ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন আশপাশের কয়েকটি পরিবারের মানুষ। এই জামায়াতে পুরুষ, মহিলা ও শিশুসহ প্রায় অধ্যশাতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। এই জামায়াতে ইমামতি করেন মোহাম্মদ আব্দুল আলিম।
খানসামা উপজেলা থেকে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লী জুবায়ের হোসেন বলেন, আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছি। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো চাঁদ দেখে রোজ ছাড়ো। পৃথিবীতে যে খানেই চাঁদ উঠবে সবাইকে সেই দিনে রোজা ও ঈদ করতে হবে।
জামাতে আসা মুসল্লি হাবিব ইসলাম বলেন, আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করতে পেরে ভালো লাগছে।
চিরিনদী ঈদগাহ মাঠে সভাপতি হাসান আলী বলেন, আমরা ২০০৯ সাল থেকে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রোজা ঈদ ও কুরবানি করি।
চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল ওদুদ বলেন, চিরিরবন্দর উপজেলার পূর্ব সাইতাঁড়া গ্রামে প্রায় ৫০ জন মানুষের একটি ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, দিনাজপুর জেলায় ২০০৭ সাল থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছে মুসলমানদের একটি অংশ। প্রথমে মুসল্লির সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে ২০২২ সালে এসে তা বেড়ে প্রায় ২০০ জনে পৌঁছেছে।
সারাবাংলা/ইআ