পটুয়াখালীতে আতশবাজি ফাটাতে গিয়ে মাদরাসাছাত্রের মৃত্যু
৩১ মার্চ ২০২৫ ১২:৩৮
পটুয়াখালী: ঈদের আনন্দে আতশবাজি ফাটাতে গিয়ে পটুয়াখালীতে মো. রাফি নামের আট বছরের এক মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া পৃথক ঘটনায় আরো দুজন কিশোরের হাত ও চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রোববার (৩০ মার্চ) রাতে শহরের মুন্সেফপাড়া ও সদর উপজেলার হকতুল্লা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রাফির মামা মো. বশার মিয়া জানান, রোববার (৩০ মার্চ) মাগরিবের নামাজের পরে তার ভাগিনাকে আতজবাজি ফোটাতে নিষেধ করে তিনি বাজারে গিয়েছিলেন। রাত ৮টার দিকে খবর পান আতশবাজি ফোটাতে গিয়ে রাফির শরীরের বিভিন্ন অংশ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। তাৎক্ষণিক তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক রাফিকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক জানান, আতশবাজির মাথার শিশার অংশ সরাসরি রাফির গলার শ্বাসনালিতে প্রবেশ করায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাফির পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত রাফি পৌর নিউমার্কেট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মানির হাওলাদারের ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাদরাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
এছাড়া, সদর উপজেলার হকতুল্লা গ্রামে একই রাতে আরেকটি আতশবাজি বিস্ফোরণের ঘটনায় মো. বেলাল তালুকদার (১৬) ও তার চাচাতো ভাই মো. রাব্বি (১৫) গুরুতর আহত হয়। তাদের হাতের তালু ও আঙুল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পাশাপাশি বেলালের বাঁ চোখেও গুরুতর আঘাত লেগেছে। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের ফুফা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, চিকিৎসকদের মতে, বেলালের হাতের একটি অংশ কেটে ফেলতে হতে পারে।
জনস্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় পটকা, আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। তবুও নিয়মিতভাবে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে, যা জনসাধারণের জন্য উদ্বেগজনক।
সারাবাংলা/এনজে