বাংলাদেশের স্বৈরাচারী সরকার বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা নারীদেরকে সম্মানিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব নারীকে দেওয়া হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার, যা ম্যাডেলিন অলব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড হিসেবে পরিচিত। এই পুরস্কারটি বাংলাদেশে চলমান গণআন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন হিসেবে দেওয়া হচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস ৩১ মার্চ এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে পুরস্কারের বিষয়ে মন্তব্য করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এই পুরস্কার পাচ্ছেন বাংলাদেশের নারীরা যারা সাহসিকতা, শক্তি এবং নেতৃত্ব প্রদর্শন করেছেন। তাদের প্রচেষ্টা শান্তি, মানবাধিকার এবং নারী-শিশুদের ক্ষমতায়নকে সমর্থন করে।
এ ছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ১ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত করবেন, যেখানে এই পুরস্কার দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রাপ্তরা আন্তর্জাতিক ভিজিটর লিডারশিপ প্রোগ্রাম-এ অংশগ্রহণ করবেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য তাদের কাজের কৌশল শেয়ার করবেন।
ট্যামি ব্রুস আরও জানান, ২০০৭ সাল থেকে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ৯০টিরও বেশি দেশ থেকে ২০০ এর বেশি নারীকে এই পুরস্কারে ভূষিত করেছে।
ম্যাডেলিন অলব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে আমেরিকা সেসব নারীদেরকে স্বীকৃতি দেয়, যারা কঠিন পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে জনগণের জন্য কাজ করছেন এবং বিশাল ঝুঁকি নিয়ে সমাজে পরিবর্তন আনতে সহায়তা করছেন।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের সম্মানজনক ম্যাডেলিন অলব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নারী শিক্ষার্থীরা। আন্তর্জাতিক নারী সাহসিকা (ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ বা আইডব্লিউওসি) পুরস্কারের পাশাপাশি এই পুরস্কার দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
গত শুক্রবার (২৮ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে এই পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। আজ পররাষ্ট্র দফতরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের আয়োজনে বিজয়ীদের এই পুরস্কার দেওয়া হবে।