ঈদে পঞ্চগড়ে বেড়েছে পর্যটকদের ভিড়
১ এপ্রিল ২০২৫ ২০:৪৯
পঞ্চগড়: দেশের উত্তরের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত পঞ্চগড়ে প্রতি বছর ঘটে পর্যটকদের আগমন। ঈদ এলেই এসব দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভিড় বারে কয়েকগুণ।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এসব দর্শনীয় স্থানে পর্যটকদের ভিড় বেড়ে যাওয়ায় এ যেন এক প্রাণের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এসব বিনোদন কেন্দ্রে যারা আসছেন তারা অনেকেই বাইসাইকেল,মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যান, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহনযোগে আসেন। ছোট বড় শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, শিক্ষার্থীসহ সব বয়সী মানুষ দলবেঁধে ঘুরেছেন।
দেশের শেষ প্রান্তের জেলা পঞ্চগড়ের মহারাজার দিঘী,মির্জাপুর শাহী মসজিদ,বার আউলিয়ার মাজার, বদেশ্বরী মন্দির,বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট,সমতলের চা বাগান, রক্সমিউজিয়াম, মহানন্দা নদী, হিমালয় বিনোদন পার্ক,৭১ এী মুক্তাঞ্চল, তেঁতুলিয়ার ঐতিহাসিক ডাকবাংলো ও পিকনিক কর্নারসহ বিভিন্ন দর্শন স্থানে ঘুরছেন পর্যটকরা। এছাড়াও মীর গড়ে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নতুন নির্মিত জেলা প্রশাসন পার্কে মানুষের ঢল নেমেছে।
এদিকে দর্শনার্থীরা বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেন। আগে গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে থাকলেও এখন প্রকাশ্যে ঘুরতে পারছেন বলে জানান কেউ কেউ।
এ বিষয়ে কথা হয় বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে আসা স্কুল ছাত্র রাশেদুজ্জামান মুন্না। তিনি বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়েছি। পঞ্চগড়ের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছি। গতকাল থেকে ঈদকে এভাবে উপভোগ করছি।’
একই কথা বলেন বাবা মায়ের সঙ্গে ঘুরতে আসার ছোট্ট শিশু রাফিয়া জান্নাত ঋতু জানায়, ‘বাবা মায়ের সঙ্গে ঈদে ঘুরতে বের হয়েছি। আমি অনেক ছবি তুলেছি। বানর, ঘোড়া ও হরিণ দেখেছি। দোলনাতেও উঠেছি। আমার অনেক ভালো লাগছে।’
এদিকে, সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে আসেন মাসুদ রানা নামে এক পর্যটক। তিনি বলেন, ‘এ বছর আমাদের জন্য অন্যরকম অনুভূতি। পরিবার পরিজন, ছেলে মেয়েকে নিয়ে ঈদে ঘুরতে পারিনি। কারণ সবসময় আমরা গ্রেফতার আতঙ্কে থাকতাম। তাই এ বছর ঈদের আনন্দ পরিবার পরিজন নিয়ে সুন্দরভাবে উপভোগ করছি।’
কথা হয় তেঁতুলিয়া ডাকবাংলোয় পর্যটন পরিবহন করা ভ্যান চালক আব্দুল বাসেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘একমাস তেমন যাত্রী পরিবহন করতে পারিনি। ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন জেলা থেকে পর্যটকরা আসছেন। তারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন এলাকা। তাদের আমার ভ্যানে তুলে যা ভাড়া পাই তা দিয়ে আমি বাজার করে বাড়ি ফিরবো।’
এদিকে তেঁতুলিয়া ডাক বাংলোর ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান হাবিব বলেন, ‘দীর্ঘ এক মাস আমাদের দোকানে বেচা বিক্রি হয়নি। ঈদ উপলক্ষে দোকানে পর্যটকদের সমাগম বৃদ্ধি পেয়েছে। ভালো সাড়া পাচ্ছি। আমার এখানে বিভিন্ন প্রসাধনী, রকমারি চা ও পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন জিনিসপত্র পাওয়া যায়। জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলো আগত আমদের টহল অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে আগত পর্যটকরা যাতে হয়রানি বা ইভটিজিং এর শিকার না হয় সেজন্য সার্বিকভাবে কাজ করছে প্রশাসন ও পুলিশ।’
সারাবাংলা/এসডব্লিউ