Wednesday 09 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রাইভেটকার ধাওয়া করে জোড়া খুন: ছোট সাজ্জাদের ২ সহযোগী গ্রেফতার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:৩৯ | আপডেট: ৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:০৫

খুনের ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত। ছবি: সিসিটিভি ফুটেজ

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে প্রাইভেটকারকে ধাওয়া করে জোড়া খুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা মোটর সাইকেলে চড়ে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে কারটিকে ধাওয়া করেছিল এবং কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছিল।

গ্রেফতার দুজন বর্তমানে কারাবন্দি পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের অনুসারী বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরী ও ফটিকছড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন।

গ্রেফতার দুজন হল, মো. বেলাল (২৭) ও মো. মানিক (২৪)।

পুলিশ জানায়, বেলালের বাড়ি বান্দরবান জেলায়। তাকে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার খাজা রোড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর মানিককে তার গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘জোড়া খুনের ঘটনাস্থলে কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে বেলাল ও মানিককে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে তাদের মোটর সাইকেল থেকে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলিবর্ষণ করতে দেখা গেছে। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।’

গত ২৯ মার্চ গভীর রাতে নগরীর বাকলিয়া থানার রাজাখালী এলাকা থেকে একাধিক মোটর সাইকেলে থাকা সন্ত্রাসীরা প্রাইভেটকারকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। প্রাইভেট কারটি বাকলিয়া এক্সেস রোড দিয়ে প্রবেশ করে নগরীর চকবাজার থানার চন্দনপুরায় পৌঁছানোর পর থেমে যায়। তখন বেপরোয়াভাবে গুলিবর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা। এতে দুজন নিহত ও দুজন আহত হন।

বিজ্ঞাপন

নিহতরা হলেন, বখতেয়ার হোসেন মানিক ও মো. আব্দুল্লাহ। তাদের বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। আহতরা হলেন- রবিন ও হৃদয়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মো. রবিন জানিয়েছিলেন, প্রাইভেটকারে চালক ছিলেন মানিক। কারের মালিক আবদুল্লাহ। কারে চালক মানিকের পাশে ছিলেন অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সরোয়ার হোসেন বাবলা। পেছনের সিটে আবদুল্লাহ, রবিন, হৃদয় ও ইমন ছিলেন।

রবিনের অভিযোগ, প্রতিদ্বন্দ্বী সরোয়ার ছোট সাজ্জাদকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেন বলে তার সন্দেহ ছিল। এজন্য সরোয়ারকে টার্গেট করে ছোট সাজ্জাদের অনুসারী সন্ত্রাসীরা কারে গুলিবর্ষণ করে। তবে সরোয়ার প্রাণে বেঁচে যান।

উল্লেখ্য, ছোট সাজ্জাদ ও সরোয়ার হোসেন বাবলার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্যের বিরোধ চলছে। সেই বিরোধে এর আগেও হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

গত ১৫ মার্চ ঢাকার বসুন্ধরা থেকে ছোট সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর সরোয়ার ও সাজ্জাদের বিরোধ নতুন মাত্রা পায়।

এদিকে জোড়া খুনের ঘটনায় নিহত বখতেয়ার হোসেন মানিকের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে গত ১ এপ্রিল নগরীর বাকলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্নাসহ ৭ জনকে আসামি করা হয়।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, মোহাম্মদ হাছান (৩৬), মোবারক হোসেন ইমন (২২), খোরশেদ (৪৫), রায়হান (৩৫) ও বোরহান (২৭)।

তবে গ্রেফতার বেলাল ও মানিকের নাম ওই এজাহারে নেই।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর পরিকল্পনা অনুসারে আসামিরা গুলি করে মানিকসহ দুজনকে হত্যা করেছে।

সারাবাংলা/আরডি/এনজে

গ্রেফতার ছোট সাজ্জাদ জোড়া খুন প্রাইভেটকার সহযোগী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর