সাতক্ষীরায় অবৈধ পাইপ লাইন অপসারণ শুরু
৪ এপ্রিল ২০২৫ ১২:০৬
সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার ভাঙনকবলিত এলাকার বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে বসানো অবৈধ পাইপ লাইন অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যার মধ্যে পাউবো বিভাগ-২ এর আওতাধীন ৭/২ পোল্ডারের বিছট, নয়াখালী, কাকবসিয়াসহ আশপাশের এলাকা থেকে সব পাইন লাইন অপসারণ করে নিয়েছেন বেশ কয়েকজন ঘের মালিক।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম।
এর আগে, বৃহস্পতিবার জেলার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট গ্রামের খোলপেটুয়া নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে ভাঙন প্রতিরোধে চিংড়ি ঘেরে পানি উঠানোর জন্য বাঁধ ছিদ্র করে বসানো পাইপ দ্রুত অপসারণের জন্য খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায়কে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ দেন।
বিছট নিউ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু দাউদ জানান, বিছট গ্রামের যে স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙেছে, সেখানে বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে বসানো একটি পাইপ লাইন ও গেট সিস্টেম ছিল। ওই স্থানটি দীর্ঘদিন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। এছাড়া মাছের ঘেরে পানি তোলার জন্য পাউবো’র বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পাইপ বসিয়ে পানি তোলার কারণে হঠাৎ বাঁধটি ধসে যায়।
স্থানীয় গ্রামবাসী রুহুল আমিন মোড়ল জানান, মাছের ঘেরে নদীর লবন পানি প্রবাহের জন্য বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পাইপ বসানোর কারণে বাঁধের নিচের মাটি দুর্বল হয়েছিল। যে কারণে আস্তে আস্তে তলার মাটি ক্ষয়ে যাওয়ায় হঠাৎ করে বেড়িবাঁধ ধসে পড়ে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
আনুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেন বলেন, ‘সাতক্ষীরার উপকূলীয় শ্যামনগর, আশাশুনি, কালিগঞ্জ ও দেবহাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাউবো’র বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে অবৈধভাবে পাইপ ঢুকিয়ে নদীর লবন পানি উঠিয়ে চলছে অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ।’
‘সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বেড়িবাঁধের ১০০ মিটার দূরে ঘের করার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ চিংড়ি চাষীরা তা মানছে না। এভাবে যত্রতত্র পাইপ বসানোর কারণে বেড়িবাঁধ দুর্বল হয়ে পড়ছে। ফলে প্রতিবছর ছোটখাটো প্রাকৃতিক দুর্যোগেও ভেঙে যাচ্ছে এসব বেড়িবাঁধ। প্লাবিত হচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা। নোনা পানির বিরূপ প্রভাবে উজার হচ্ছে বনজ ও ফলদ সম্পদ। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য।’
সারাবাংলা/এসডব্লিউ