মহুয়া কমিউটারের পাওয়ার কারে অগ্নিকাণ্ডে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৩৭ | আপডেট: ৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:২৬
শুক্রবার ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে মহুয়া কমিউটার ট্রেনের পুড়ে যাওয়া পাওয়ার কার পরিদর্শন করেন রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন
ঢাকা: গাজীপুরের শ্রীপুরের সাতখামাইর এলাকায় ময়মনসিংহগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেনের পাওয়ার কারে আগুনের ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সকালে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ওয়াশপিটে রাখা পুড়ে যাওয়া পাওয়ার কারটি পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন এ কথা জানান।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) এক অগ্নিকাণ্ডে ট্রেনটির পাওয়ার কার পুড়ে যায়।
পরিদর্শন শেষে রেলওয়ের মহাপরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, পাওয়ার কারে কী কারণে আগুন লেগেছে, সেটা ধরা খুবই ডিফিকাল্ট। পাওয়ার কারটি যেভাবে পুড়ে গেছে, আসলে কোনভাবেই তা ট্রেস করা যাচ্ছে না। এটার দুইটি সম্ভাব্য কারণ থাকতে পারে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে- জেনারেটর ওভার হিট হওয়া এবং অন্যটি হচ্ছে- বাইরের কেউ এসে সিগারেট খাওয়ার সময় আগুন ধরতে পারে। আমরা এখনও এটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না।
তিনি আরো বলেন, আমরা পাওয়ার কারটি ঘুরে দেখলাম। পাওয়ার কারের ভেতর থাকা দুইটি জেনারেটরই পুড়ে গেছে। পাওয়ার কারের ভেতর যেগুলো দাহ্য পদার্থ ছিল সবগুলোই পড়ে গেছে। শুধু লোহার ফ্রেমটুকু অবশিষ্ট আছে। আমাদের মনে হয়েছে এটি ঠিক করার সুযোগ আছে। এটাকে আমরা চট্টগ্রাম পাঠাবো।
এতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান রয়েছে ঢাকা বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তাকে। তারা এটা নির্ধারণ করে জানাবেন।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার মহুয়া ট্রেনের পরিচালক শাহাদাত হোসেন বলেন, শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছার আগেই ট্রেনের জেনারেটর কোচে আগুন দেখতে পেয়ে ডাক-চিৎকার শুরু করেন যাত্রীরা। এরপর ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের নামতে সুযোগ করে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে জেনারেটর কোচ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে দুপুর ১টার দিকে পুড়ে যাওয়া কোচ সরিয়ে নিলে ঢাকা-ময়মনসিংহ ট্রেন যোগাযোগ চালু হয়।
সারাবাংলা/জেআর/আরএস