Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিতণ্ডার পর চট্টগ্রাম মেয়রের ডাকে সভায় যাননি সিডিএ চেয়ারম্যান


২৪ জুন ২০১৮ ২১:২৩

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: জলাবদ্ধতা নিয়ে দলের সভায় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার পর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে একই ইস্যুতে আয়োজিত এক সভায় অনুপস্থিত দেখা গেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামকে। আমন্ত্রণ জানানোর পরও সভায় ছালাম নিজে যেমন যাননি, পাঠাননি কোনো প্রতিনিধিও।

ছালামের অনুপস্থিতিতে ক্ষুব্ধ মেয়র সভা শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন কোনো সংস্থার প্রধান সমন্বয় সভায় উপস্থিত না থাকলে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে।

রোববার (২৪ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন উদ্যোগে ১২তম সমন্বয় সভা নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে হয়েছে। সমন্বয় সভার প্রধান আলোচ্যসূচি ছিল সিডিএ’র বাস্তবায়নাধীন জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প।

সভায় সিডিএ’র কোনো প্রতিনিধি না থাকায় আলোচ্যসূচি নিয়েই কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য জানা যায়নি। এই অবস্থায় চলতি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং নেওয়া হবে তা জানতে সিডিএকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে এই সভায় সিডিএ ছাড়া বিভিন্ন সেবা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সমন্বয় সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

সভা শেষে মেয়র জানান, সেবা সংস্থাগুলো চট্টগ্রাম নগরের উন্নয়নে ভবিষ্যতে কী ধরনের প্রকল্প নেওয়ার পরিকল্পনা আছে তা ১৫ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে করপোরেশনকে অবহিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়। নগরের যানজট নিরসনে যত্রতত্র পার্কিং (গাড়ি রাখা) বন্ধ এবং গাড়ি রাখার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা নির্ধারণে কাজ শুরু হবে। এ ছাড়া বাস ও ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সভায় সিডিএর প্রতিনিধি অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, মন্ত্রণালয়ে বৈঠক থাকার কারণে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম সমন্বয় উপস্থিত থাকতে পারেননি।

মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিডিএ। সমন্বয়ের মাধ্যমে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে তা টেকসই হবে। টেকসই না হলে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট হবে। দিন শেষে জনগণও ক্ষুব্ধ হবেন।

সভায় হালদা নদীর দূষণ বন্ধের বিষয়েও আলোচনা হয়। পরে মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, হালদা জাতীয় সম্পদ। যে কোনো মূল্য তা রক্ষা করতে হবে। সিডিএ বামনশাহী খালে বাঁধ দিয়েছে। এতে হালদা নদীর দূষণ বেড়ে গেছে। তাই এ বাঁধ অপসারণ করতে হবে।

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ, চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, স্থানীর সরকার মন্ত্রণালয়ের চট্টগ্রামের উপপরিচালক ইয়াসমিন পারভীন তিবরিজি।

আ জ ম নাছির উদ্দিন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আর আবদুচ ছালাম একই কমিটির কোষাধ্যক্ষ।

গত ২১ জুন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় দুই নেতা জলাবদ্ধতা ইস্যুতে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। দুজনের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের এক পর্যায়ে তড়িঘড়ি করে সভা শেষ করে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

সভায় অনুপস্থিতির বিষয়ে বক্তব্য জানতে ফোন করা হলেও সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম রিসিভ করেননি।

সারাবাংলা/আরডি/এমআই

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর