খাগড়াছড়ি: ঈদ উৎসবের মাঝেই শুরু হয়েছে পাহাড়ের বৃহৎ উৎসব বৈসাবি উদযাপনের প্রস্তুতি। চাকমাদের ‘বিঝু’ মারমাদের ‘সাংগ্রাই’ আর ত্রিপুরাদের ‘বৈসু’ অনুষ্ঠানের নামের প্রথম আদ্য অক্ষর নিয়ে সম্মিলিত উৎসবের নামকরণ করা হয়েছে ‘বৈসাবি’।
খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. সুধীন কুমার চাকমা বলেন, চাকমা জনগোষ্ঠীর নববর্ষের নাম ‘বিঝু’। তারা তিনদিনব্যাপী বিঝু পালন করে থাকে। অন্যদিকে, সম্পূর্ন ভিন্ন কৃষ্টি ও সংস্কৃতি নিয়ে মারমারা ৪দিন ধরে তাদের নববর্ষ ‘সাংগ্রাই’ ও ত্রিপুরা জনগোষ্টী তিন দিনব্যাপী ‘বৈসু’ পালন করে থাকে।

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের সভাপতি রাসাথোয়াই মারমা বলেন, পাহাড়ের সবচেয়ে বড় উৎসব বৈসাবি। এ বছর আগেই শুরু হয়েছে বৈসাবি উদযাপন। ইতিমধ্যে ঈদ আনন্দের মাঝেই খাগড়াছড়ির বৈসাবি উদযাপন কমিটির উদ্যোগে খাগড়াছড়ি শহরের প্রাণ কেন্দ্র নিউজিল্যান্ড এলাকায় চলছে ১৫ দিন ব্যাপী ‘বৈসাবি’ মেলা। গত ২৮ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে মেলা, চলবে আগামী ১১ এপিল পর্যন্ত ।
বাংলাদেশ ত্রিপুরা ঐক্য পরিষদ আহবায়ক খনি রঞ্জন ত্রিপুরা বলেন, বৈসাবি পাহাড়ি জনগণসহ অন্যান্যদের এক হতে, ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখতে, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রকাশ করতে এবং সমাজ ও দেশের কল্যাণে কাজ করার মন্ত্রণা দেয়।
খাগড়াছড়ি বৈসাবি মেলা উৎযাপন কমিটির যুগ্ন সদস্য সচিব কিরন চাকমা বলেন মূলত পাহাড়িদের সংস্কৃতিকে ধরে রাখা, বিকশিত করা ও নতুন প্রজন্মকে শিক্ষা দেয়া এবং মানুষকে আনন্দ দেয়ার জন্য এ মেলা আয়োজন।
পুলিশ সুপার মো. জুয়েল আরেফিন বলেন বৈসাবি মেলাকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জেলার গুরুত্বপূর্ন সকল স্থানে তিন স্তরে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এ সময় পাহাড়ের সকলকে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।