Tuesday 08 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রংপুরে বিএনপির ২ গ্রুপে সংঘর্ষ, নিহত ১

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৫ এপ্রিল ২০২৫ ২২:১৬ | আপডেট: ৬ এপ্রিল ২০২৫ ১০:৩০

বিএনপির ২ গ্রুপে সংঘর্ষে নিহত লাভলু মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

রংপুর: রংপুরের বদরগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত লাভলু মিয়া (৫০) নামের এক কর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

শনিবার (৫ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহত লাভলু মিয়া বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামের বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বদরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম আতিকুর রহমান।

এর আগে শনিবার দুপুরে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা শহিদ মিনারের সামনে ব্যবসায়ীকে মারধরের প্রতিবাদে ডাকা মানববন্ধনে হামলার পর বিএনপির দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়।

আহতদের মধ্যে শফিকুল ইসলাম ও লাভলু মিয়াকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এর মধ্যে রাত ৯টার দিকে লাভলু মিয়া মারা গেছেন। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, বদরগঞ্জ বাজারে ইশতিয়াক বাবুর দোকান ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন জাহিদুল ইসলাম। গত মাসে হঠাৎ জাহিদুলকে দোকান ছেড়ে দিতে বলেন বাবু। ২০২৮ সাল পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও জামানতের ৩৫ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া শর্তে দোকান ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন জাহিদুল। তবে দোকানমালিক বাবু জামানতের ৩৫ লাখ টাকা দিতে অস্বীকার এবং দোকান ছেড়ে না দিলে জোর করে ছাড়িয়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। এমন পরিস্থিতিতে ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাবু তার লোকজন নিয়ে দোকানঘর ভাঙচুর এবং লুটপাট করেন বলে অভিযোগ জাহিদুলের। এ ঘটনার সময় প্রতিবাদ করলে জাহিদুলকেও মারধর করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী জাহিদুলের পক্ষ নেন বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হক মানিক। জামানতের টাকা না দিয়ে ভাড়াটিয়াকে মারধর, দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বেলা ১১টার দিকে বদরগঞ্জ শহিদ মিনারের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য ও রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকারের পক্ষের লোকজন মানববন্ধনে অতর্কিত হামলা চালায় বলে দাবি প্রতিপক্ষের। এতে মানিক চেয়ারম্যানের পক্ষের লোকজন বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় অন্তত ১৫ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ বিষয়ে বদরগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী মোতায়েন আছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেননি।’

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির তিন নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনিসুর রহমান লাকু জানান, বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক মানিক, জেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার এবং বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির মানিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

সারাবাংলা/পিটিএম

টপ নিউজ নিহত বিএনপি রংপুর সংঘর্ষ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর