ঢাকা: জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে গণহত্যা মামলায় ঢাকার ওয়ারী জোনের সাবেক সহকারী কমিশনার (এসি) তানজিল আহমেদ ও যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসানকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
রোববার (৬ এপ্রিল) সকালে কড়া নিরাপত্তায় তাদের ট্রাইব্যুনালে তোলে পুলিশ। আজ তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।
প্রসিকিউশন পক্ষে দুই মাস সময়ের আবেদন করেন বিএম সুলতান মাহমুদ। আবেদন মঞ্জুর করে ৬ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করে ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষে বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ জব্দের বিষয়ে দুটি আবেদন করেন প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম। ট্রাইব্যুনাল সেটিও মঞ্জুর করে।
সাবেক এই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ২০ জুলাই কারফিউ জারি করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার। ওইদিন দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। ওই সময় দুই বন্ধুর সঙ্গে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় চা খেতে যান তাইম। ঠিক একই সময় বিক্ষোভ করছিলেন আন্দোলনকারীরা।
এক পর্যায়ে এসি তানজিল ও ওসি আবুল হাসানের নির্দেশে তাদের ওপর টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও গুলি চালানো হয়। এতে প্রাণভয়ে ছোটাছুটি করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া চায়ের দোকানের ভেতর ঢুকে শাটার নামিয়ে দেন তাইম ও তার দুই বন্ধু। কিন্তু শাটারের নিচের দিকে একটু খোলা ছিল। পরে তাদের টেনে বের করে গুলি চালায় পুলিশ। এতে ঘটনাস্থলেই তাইম নিহত হন।
পুলিশ সূত্র জানায়, গণঅভ্যুত্থানে যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলি চালিয়ে ছাত্র-জনতাকে হত্যার অভিযোগে আবুল হাসানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলার নয়াপাড়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তিনি গ্রেফতার হন। এ ছাড়া সহকারী কমিশনার (এসি) তানজিলের বিরুদ্ধেও হত্যা মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ৩০ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ীর আইসিটিবিডি ৫/২০২৪ মামলায় এই দুজনকে আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তোলা হয়।