বাংলাদেশে চাইনিজ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
৬ এপ্রিল ২০২৫ ১২:৩৫ | আপডেট: ৬ এপ্রিল ২০২৫ ১২:৫০
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন তার জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে বাংলাদেশের রূপান্তরে সহযোগিতা করে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশেয়েটিভকে (বিআরআই) বাংলাদেশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় বলে জানিয়ে তিনি বলেছেন, বিআরআই যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করে এবং বাংলাদেশে একটি সুস্থ অর্থনীতি গড়ে তুলতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশে চাইনিজ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের আহ্বানও জানান।
দেশটির গণমাধ্যম সিজিটিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। শনিবার (৫ এপ্রিল) সাক্ষাতকারটি প্রকাশ করেছে সংবাদ মাধ্যম সিজিটিএন।
চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ প্রদেশ হাইনানে ২৬ থেকে ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) ২০২৫ এর বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেন ইউনূস। এরপর তিনি বেইজিং সফর করেন—যা প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তার প্রথম সফর এই শহরে। সে সময় এই সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়।

সিজিটিএনকে দেওয়া সাক্ষাতকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ এবং শিল্প কারখানা স্থানান্তর করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এতে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের ভূমি পরিবেষ্টিত দেশ উপকৃত হবে।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে আছে বাংলাদেশ, এ জন্য দেশকে এগিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, শান্তিই একমাত্র সমাধান, যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধের কোনো প্রয়োজন নেই।
চীন সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর ও ফলপ্রসূ হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন ইউনূস।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার ৫০ বছরের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সাফল্যকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করে প্রধান উপদেষ্টা তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, চীন তার জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে বাংলাদেশের রূপান্তরে সহযোগিতা করে যাবে।
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ যারা বিআরআই সহযোগিতার জন্য চীনের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।
ইউনূস বলেন, বিআরআই দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে শক্তিশালীভাবে জোরদার করেছে।
সারাবাংলা/ইআ