ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে খুনের পর পালিয়ে যাওয়া স্বামী গ্রেফতার
৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:১৫ | আপডেট: ৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:১৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে খুনের ঘটনায় স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জেরে তিনি স্ত্রীকে খুন করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) গভীর রাতে নগরীর বন্দর থানার ধুমপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার সবুজ খন্দকার (২৯) টাঙ্গাইল জেলার ভূঁঞাপুর উপজেলারে বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে নগরীর বন্দর থানার ধুমপাড়া সাগর রোড এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
এর আগে শনিবার বিকেলে বন্দরের বাকের আলী টেকের মোড় এলাকায় চাঁদনি খাতুনকে (২৫) এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান তার স্বামী সবুজ খন্দকার। পরে স্থানীয়রা চাঁদনিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, চাঁদনি সবুজের সঙ্গে আর সংসার করতে চাচ্ছিলেন না। তাই তিনি সবুজের বাসা ছেড়ে তার মামার বাসায় উঠেছিলেন। তিনি নগরীর ইপিজেডে এভারটোব বাংলাদেশ লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। সবুজ কয়েকবার তাকে ফিরিয়ে নিতে চাইলেও চাঁদনি যেতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার ঝগড়াও হয়। শনিবার বিকেলে চাঁদনি কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে বাকের আলী টেকের মোড় এলাকায় আগে থেকে উঁৎপেতে থাকা সবুজ তার গতিরোধ করেন।
এরপর চাঁদনিকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে তিনি পালিয়ে যান। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই চাঁদনি মারা যান। এ ঘটনায় খুনের শিকার চাঁদনির বোন সবুজকে একমাত্র আসামি করে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মুহাম্মদ সুলতান আহসান সারাবাংলাকে বলেন, ‘চাঁদনির যখন জ্ঞান ছিল তখন সে ওখানে থাকা লোকজনকে বলে গিয়েছিল তার স্বামী তাকে ছুরিকাঘাত করেছে। ঘটনার পরপরই আমাদের পাঁচটি টিম সবুজকে গ্রেফতার করতে অভিযানে নামে। বিভিন্ন মোড়ে আমাদের সোর্সদের সক্রিয় থাকতে বলা হয়। রাত দেড়টার দিকে ধুমপাড়া এলাকায় তার মোবাইলের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে আমরা সক্ষম হই।’
ওসি সুলতান আহসান আরও বলেন, ‘সে মূলত পালিয়ে যাওয়ার জন্য সুযোগ খুঁজছিল। পুলিশকে দেখে সে দৌঁড়ও দিয়েছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সবুজ খুনের কথা স্বীকার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা ছুরিটি আমরা আগেই উদ্ধার করেছি। সবুজকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
সারাবাংলা/আইসি/ইআ