চট্টগ্রাম ব্যুরো: পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে টানা ৯ দিনের ছুটির পর কর্মমুখর হয়ে উঠতে শুরু করেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকাংশই যোগ দিয়েছেন, সেবাপ্রার্থীদের আনাগোণাও শুরু হয়েছে। তবে সড়কে এখনো যানবাহন কম চোখে পড়েছে। বন্দরনগরী কর্মচঞ্চল হয়ে পুরোপুরি স্বাভাবিক ধারায় ফিরতে আরও দিন দুয়েক সময় লাগতে পারে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, সিডিএ, বন্দর ভবন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল, আদালতসহ সব সরকারি অফিসেই রোববার (৬ এপ্রিল) সকাল থেকে কর্মব্যস্ততা দেখা গেছে। শুরুতে সহকর্মীরা একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় সেরেছেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঈদের ছুটির পর প্রথমদিনে আমাদের অধিকাংশ সহকর্মী কাজে যোগ দিয়েছেন। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে। আমাদের মেয়র মহোদয় এখন চট্টগ্রামের বাইরে আছেন। দাফতরিক কাজের বাইরে মাঠে সিটি করপোরেশনের যেসব কাজ আছে, সেগুলো যথারীতি চলছে।’

নগরীর পোশাকসহ শিল্প কারখানাগুলোর প্রায় ৯০ ভাগ চালু হয়েছে।। ছবি: সারাবাংলা
শিল্প পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিইপিজেড, কেইপিজেডসহ নগরীতে পোশাকসহ শিল্প কারখানাগুলোর প্রায় ৯০ ভাগ চালু হয়েছে। অধিকাংশ শ্রমিক-কর্মচারী কাজে যোগ দিয়েছেন। কিছু কিছু কারখানা শনিবার খুলে দেওয়া হয়।
নগরীর কাজির দেউড়ি থেকে আগ্রাবাদ পর্যন্ত এলাকায় যানবাহনের চাপ কম দেখা গেছে। দুপুর পর্যন্ত সড়ক অনেকটাই ফাঁকা ছিল। গণপরিহন কম দেখা গেছে, ব্যক্তিগত যানবাহনেরও তেমন চাপ নেই।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অফিস-আদালত খুললেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নগরীতে আগের চিরচেনা যানবাহনের চাপ কিংবা কর্মব্যস্ততা কম পরিলক্ষিত হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যোগ দিলেও অনেকের পরিবার-পরিজন এখনো ফেরেনি। এছাড়া মার্কেট-শপিংমল, দোকানপাট পুরোপুরি না খোলায় বন্দরনগরীতে এখনো চাপ কম দেখা যাচ্ছে।

ছবি: সারাবাংলা
গত ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর উদযাপন হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ৩১ মার্চ ছিল সাধারণ ছুটি। ঈদের আগের দিন ৩০ মার্চ ও ঈদের পরের দিন ১ ও ২ এপ্রিলও ছুটি ছিল। ৩ এপ্রিল ছুটি হয় নির্বাহী আদেশে। সবমিলিয়ে এবার ঈদের ছুটি ছিল ৫ দিন। আর দুই দফায় শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে আরও চারদিন ছুটি যোগ হয়। এতে মোট ৯ দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পান সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা।