নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কুয়াকাটা সৈকতে চলছে মার্কেট নির্মাণ
৭ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:০০ | আপডেট: ৭ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:৩০
পটুয়াখালী: নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত দখল করে গড়ে উঠছে মার্কেট। সৈকতের জিরো পয়েন্টের পশ্চিমপাশের টাইলস মার্কেট সংলগ্ন সাগর থেকে বালু উত্তোলন করে চলছে দোতলা মার্কেট নির্মাণ। এতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অন্তোষ প্রকাশ করেছেন পর্যটকরাও। ঝুঁকি এড়াতে অবৈধ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ওই মার্কেট নির্মাণ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন হুমকিতে থাকা আশপাশের ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সমুদ্রসৈকতে মার্কেট নির্মাণ কাজ চলছে। টিন ও কাঠের মাচার ওপর ইট-সিমেন্টের ঢালাই দিয়ে করা হচ্ছে দ্বিতীয় তলায় আবাসিক হোটেল ও রেস্টুরেন্ট। সম্প্রতি, মার্কেটটিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করেছে কুয়াকাটা পৌর কর্তৃপক্ষ। ঝুঁকি এড়াতে সাইনবোর্ডও স্থাপন করা হয়েছে। তবুও মার্কেটিককে বর্ধিত করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো.সাজিদুল ইসলাম হিরু মিয়া।
ওই ব্যবসায়ী নিজেকে ওই জমির মালিক দাবি করলেও, কুয়াকাটা পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সৈকতের মালিকানা সরকারের, এখানে মার্কেট করার কোনো সুযোগ নেই।
কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টে পশ্চিমপাশে প্রায় ২০০ ফুট লম্বা টাইলস মার্কেটের পশ্চিমপাশ পুরোপুরি সৈকতের ভিতরে। জোয়ারের পানি সবসময় ওই মার্কেটে আচড়ে পড়ে। বর্তমানে ওই মার্কেট আরও বর্ধিত করা হচ্ছে। মার্কেটটি লোহার পাত আর কাঠ দিয়ে তৈরী করা হলেও তার ওপরে ডালাই দিয়ে দোতলা নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন আশপাশের ব্যবসায়ীরা।
কুয়াকাটার ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কে এম বাচ্চু বলেন, ‘সৈকতের মধ্যে কীভাবে মার্কেটি বর্ধিত করা হচ্ছে জানা নেই।’
জমির মালিক দাবি করা মো. সাজিদুল ইসলাম হিরু মিয়া বলেন, ‘এই জমির মালিক আমি। আমার জমির অনেকাংশ সমুদ্রের মধ্যে রয়েছে। এটা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। মার্কেটটি ঝুকিপূর্ণ নয়, প্রকৌশলীর পরামর্শ নিয়ে কাজ করা হয়েছে।’
কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়ামিন বলেন, ‘এ ব্যাপারে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমুদ্র সৈকতের মালিক একমাত্র সরকার। এখানে ব্যক্তি মালিকানার কোনো সুযোগ নেই। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/এসআর
কুয়াকাটা কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা পটুয়াখালী সমুদ্রসৈকত দখল সারাবাংলা