আচরণবিধির খসড়া চূড়ান্ত
নির্বাচনি প্রচারে পোস্টার না রাখার সুপারিশ ইসির
৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:১৬ | আপডেট: ৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৪০
ঢাকা: নির্বাচনের সময় শহরের অলি-গলি থেকে শুরু করে গ্রামের প্রতিটি রাস্তাসহ সব জায়গা ছেয়ে যায় প্রার্থীদের পোস্টারে। এবার এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারে পোস্টারের ব্যবহার না করার প্রস্তাবনা রেখে নির্বাচনি আচরণবিধির একটি খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করেছে ইসি।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি জানান, কমিশনে অনুমোদনের পর তা সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রচারে পোস্টারের ব্যবহার বাদ দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনেকটা এ রকম। আমরা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবকে ভালোই মনে করছি।’
তিনি বলেন, ‘আচরণবিধির খসড়া আমাদের প্রায় চূড়ান্ত। এ নিয়ে আজ একটা সভা হয়েছে। আগেও আমরা একটি সভা করেছিলাম। খসড়াটি চূড়ান্ত করে আমরা কমিশনে প্লেস করব, কমিশন অনুমোদন দিলে প্রকাশ হবে।’
এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের বিষয়টিও নির্বাচনি আচরণবিধিতে আছে বলে উল্লেখ করেন আনোয়ারুল ইসলাম। বলেন, ‘নির্বাচনের সময় গুজব যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেই প্রস্তাবও করেছি।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনি ব্যয় ন্যূনতম রেখে যাতে শৃঙ্খলা বিঘ্নিত না হয়, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে যেন প্রচার করতে পারে, সে ধরনের একটা মনোভাব নিয়ে আচরণবিধি করতে চাচ্ছি। এক্ষেত্রে আরপিও যেখানে সংশোধন করা প্রযোজন সেখানে সংশোধন করা হবে।’
নির্বাচনে কঠোর ইসির কঠোর অবস্থান থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ কঠোরতার জন্য যে টুলসগুলো আছে, সেগুলোকে শক্তিশালী করব।’ দুইশ টাকা, পাঁচশ টাকা জরিমানার বিষয়গুলো আরও বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা চলছে বলেও জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
সারাবাংলা/এনএল/পিটিএম