ফিলিস্তিনে গণহত্যা: কেএফসির বরিশাল ব্রাঞ্চে ভাঙচুর
৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৩৯ | আপডেট: ৭ এপ্রিল ২০২৫ ২০:২৯
বরিশাল: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও সড়কে নামাজ আদায়সহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দিনভর কর্মসূচি পালন করেন বরিশালের শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। এক সময় বিক্ষোভকারীরা কেএফসির ছাদে উঠে লোগো ভেঙে ফেলেন।
সকাল ১১টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনের সড়কে ছাত্র-জনতার ব্যানারে কর্মসূচি শুরু হয়। সড়ক অবরোধ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করার পর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসরায়েল যে বর্বরতা গাজায় চালাচ্ছে তা ইতিহাসে নজিরবিহীন। যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে শিশু, নারী, বেসামরিক মানুষের ওপর নির্বিচারে বোমাবর্ষণ মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত এখনই একতাবদ্ধ হয়ে এই গণহত্যা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া। ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো এখন সময়ের দাবি। অবিলম্বে গাজায় হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে হবে এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
তারা অভিযোগ করেন, কেএফসি ইসরায়েলকে অর্থ সহায়তা করে। যে অর্থের একাংশ যুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে। জনতা কেএফসি বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানায়।
বিক্ষোভকারীরা কেএফসির সামনের সড়কে জোহরের নামাজ আদায় করেন এবং মোনাজাতে গাজাবাসীর জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে কয়েকজন বিক্ষোভকারী প্রতিষ্ঠানটির ছাদে উঠে কেএফসির লোগো ভেঙে ফেলেন এবং ব্যানার নিয়ে যান। এ ছাড়া দেয়ালে বয়কট কেএফসি লিখে দেন তারা। তারা রেস্টুরেন্টটির ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধরা কেএফসির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। কেএফসির লোগো ভেঙে ফেললেও বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
সারাবাংলা/এইচআই