জোড়া খুন: ছোট সাজ্জাদের আরেক সহযোগী গ্রেফতার
৭ এপ্রিল ২০২৫ ২০:২৪ | আপডেট: ৭ এপ্রিল ২০২৫ ২০:২৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে প্রাইভেটকার ধাওয়া করে জোড়া খুনের ঘটনায় আরও এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে জোড়া খুনের ঘটনায় মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (৬ এপ্রিল) রাতে নগরীর সদরঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মো. সজিব (২৯) ফটিকছড়ি উপজেলার মধ্য কাঞ্চননগর এলাকার বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের অনুসারী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন সারাবাংলাকে জানান, সিসিটিভির ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সজিবকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তার দেওয়া তথ্যমতে ফটিকছড়ি কাঞ্চননগর এলাকার রাজা রাস্তার মাথা থেকে খুনের ঘটনায় ব্যবহার করা মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ গভীর রাতে নগরীর বাকলিয়া থানার রাজাখালী এলাকা থেকে একাধিক মোটরসাইকেলে থাকা সন্ত্রাসীরা একটি প্রাইভেটকারকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। প্রাইভেটকারটি বাকলিয়া এক্সেস রোড দিয়ে প্রবেশ করে নগরীর চকবাজার থানার চন্দনপুরায় পৌঁছানোর পর থেমে যায়। তখন বেপরোয়াভাবে গুলিবর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা। এতে দু’জন নিহত ও দু’জন আহত হন।
শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সরোয়ার হোসেন বাবলা সাজ্জাদকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেন বলে তার সন্দেহ ছিল। এজন্য সরোয়ারকে টার্গেট করে ছোট সাজ্জাদের অনুসারী সন্ত্রাসীরা প্রাইভেটকারে গুলিবর্ষণ করে। সেদিন ওই প্রাইভেটকারে চালকের পাশে সরোয়ার থাকলেও তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত মো. বেলাল ও মানিক নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
জানা যায়, ছোট সাজ্জাদ ও সরোয়ার হোসেন বাবলার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্যের বিরোধ চলছে। সেই বিরোধে এর আগেও হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ ঢাকার বসুন্ধরা থেকে ছোট সাজ্জাদকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এরপর সরোয়ার ও সাজ্জাদের বিরোধ নতুন মাত্রা পায়। জোড়া খুনের ঘটনায় রোববার দুপুরে ছোট সাজ্জাদকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
এদিকে জোড়া খুনের ঘটনায় নিহত বখতেয়ার হোসেন মানিকের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে গত ১ এপ্রিল নগরীর বাকলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। এতে ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্নাসহ সাতজনকে আসামি করা হয়।
সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম