অস্ত্র মামলায় চুয়াডাঙ্গায় একজনের ১৭ বছরের কারাদণ্ড
৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:০৯ | আপডেট: ৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:১১
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় অস্ত্র মামলায় আবুল কাশেম (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা জজ-১ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ আল-আমিন মাতুব্বর এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আবুল কাশেম দামুড়হুদা উপজেলার মুন্সীপুর গ্রামের মোহাম্মদ সরদারের ছেলে। এ মামলার অপর আসামি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খেজুরা গ্রামের মরহুম মহর আলী ছেলে জয়নালকে (৪৫) মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০১১ সালের ৫ মে রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা র্যাব ক্যাম্পের ডিএডি আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে একদল র্যাব সদস্য সদর উপজেলার আলুকদিয়া এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে, চুয়াডাঙ্গা থেকে একটি আলমসাধুযোগে দুজন ব্যক্তি অস্ত্র নিয়ে মেহেরপুরের দিকে যাচ্ছে। ওই সংবাদের ভিত্তিতে আলুকদিয়া বাজারের ইউনুছ আলী মার্কেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর আলমসাধুযোগে দুজনকে ব্যক্তিকে আসতে দেখে তাদের গতিরোধ করা হয়। এ সময় তাদের দুজনকে আটক করে দেহ তল্লাশি করে আসামি আবুল কাশেমের কোমর থেকে একটি দেশি শার্টারগান ও ৩০৩ রাইফেলের একটি গুলি চেম্বারে লোড অবস্থায় জব্দ করা হয়। এছাড়াও ওই সময় একটি হাতুড়ি ও একটি লোহার সাবল জাতীয় লম্বা ১৪ ইঞ্চি পাইপ জব্দ করা হয়।
ওই সময় তার সঙ্গে থাকা জয়নালকে আসামি আবুল কাশেমের সহযোগী বলে জানা যায়। এ ঘটনার আসামী আবুল কাশেমকে প্রধান আসামি ও জয়নালকে সহযোগী হিসেবে জব্দ অস্ত্র ও অন্যান্য মালামালসহ চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় র্যাব ক্যাম্পের তৎকালীন ডিএডি আফজাল হোসেন সোপর্দ করে তিনি বাদী হয়ে মামলা করে।
দীর্ঘদিন ধরে এ মামলা আদালতে চলমান থাকার পর সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার প্রধান আসামি আবুল কাশেমকে অস্ত্র আইনে ১৯ ধারায় ৭ বছর ও ১৯ (এ) ধারায় ১০ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন বিজ্ঞ বিচারক। এছাড়া মামলার অপর আসামি জয়নালকে (৪৫) খালাস দেওয়া হয়।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এ্যাডভোকেট মানজারুল হক জোয়ার্দ্দার হেলাল ও আসামী পক্ষে এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী সাগর ও এ্যাডভোকেট এনামুল কবীর কৌসুলি ছিলেন।
সারাবাংলা/এমপি