তরুণীকে শ্বাসরোধে খুন, দেখে ফেলায় নানা-নানিকে জখম
৯ এপ্রিল ২০২৫ ১০:৩৪ | আপডেট: ৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৩০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় নানার বাড়িতে বেড়াতে আসা এক তরুণীকে খুনের পর পালিয়ে গেছে নিকটাত্মীয় যুবক। এ সময় ওই তরুণীর বৃদ্ধ নানা-নানিকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে।
পুলিশের ধারণা, ধর্ষণের পর তরুণীকে তার ‘খালাতো মামা’ হত্যা করেছে। এ ঘটনা দেখে ফেলায় আরও দুই জনকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) গভীর রাতে চন্দনাইশ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত আরজু আক্তার (২০) চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের কাঞ্চননগর গ্রামের বাসিন্দা।
তার নানা আব্দুল হাকিম (৭০) ও নানি ফরিদা আক্তার (৬০) গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের বাড়ি চন্দনাইশ পৌরসভার নয়াপাড়া এলাকায়।
ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়া যুবক নাজিম উদ্দিন (৩০) সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
আব্দুল হাকিমের বরাত দিয়ে তার প্রতিবেশি মো. মনসুর সারাবাংলাকে জানান, আব্দুল হাকিমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। তিন ছেলে বিদেশে থাকেন।
ঘটনার সময় পাকা ঘরের দ্বিতীয় তলায় তিন ছেলের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। আর নিচতলায় আব্দুল হাকিম, ফরিদা, আরজু ও নাজিম। এরমধ্যে আরজু ঈদুল ফিতরের সময় নানার বাড়িতে বেড়াতে যান। আর মঙ্গলবার রাতে নাজিম তার খালা ফরিদা আক্তারের বাড়িতে বেড়াতে যান।
চন্দনাইশ থানার ডিউটি অফিসার এএস়আই আমিন উল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, ‘নাজিম হচ্ছে নিহত আরজুর মায়ের খালাতো ভাই। আমরা যতটুকু তথ্য পেয়েছি, মঙ্গলবার রাতে নাজিম আরজুকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। তাকে বাঁচাতে নানি এগিয়ে এলে তাকে এলোপাতাড়ি কোপায় নাজিম। নানির চিৎকারে নানা এলে তাকেও কোপানো হয়। এরপর নাজিম তার খালা ফরিদা আক্তারের মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়।’
কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিহত তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিংবা ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে, এটা স্পষ্ট। কী হয়েছে, সেটা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বোঝা যাবে। তরুণীকে মুখের ভেতর ওড়না ঢুকিয়ে শ্বাসরোধে মৃত অবস্থায় আমরা পেয়েছি।’
এএসআই আমিনউল্লাহ জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ থানায় রেখেছে। সুরতহাল সম্পন্ন হয়েছে। আনুষাঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
সারাবাংলা/আরডি/ইআ