পিৎজা হাটে হামলা: ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৪ কর্মী গ্রেফতার
৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৫৮ | আপডেট: ৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:০১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসন বিরোধী মিছিল থেকে পিৎজা হাট, পুমা শোরুমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগে চট্টগ্রামে আরও চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ এবং একজন যুবলীগের কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাতে নগরীর খুলশী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতার চারজন হলেন- খাইরুল নুর ইসলাম (২৭), মো. তামজিদ (২০), মো. ইব্রাহিম (২৬) ও মো. ইলিয়াস (৪৮)।
পুলিশ জানায়, খাইরুল, তামজিদ ও ইব্রাহিম নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। খাইরুল ও ইব্রাহিমের বাসা নগরীর লালখান বাজার এলাকায়। ইব্রাহিমের বাসা ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকায়। আর পশ্চিম খুলশী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ইলিয়াস যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
ফিলিস্তিনে ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে গত সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীতে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মিছিল বের হয়। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, মিছিল থেকে নগরীর খুলশী থানার জিইসি মোড়ে পিৎজা হাট রেস্তোঁরা, হোটেল জামান এবং লালখান বাজারে পুমা শোরুম ও বীর চট্টলা রেস্তোঁরায় আক্রমণ করা হয়। এ ঘটনায় খুলশী থানার এসআই মো. জালাল আহমেদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
খুলশী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আফতাব হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘পিৎজা হাট, পুমা শোরুমসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর, নাশকতা চালানো হয়েছিল। এ ঘটনায় আমরা চার জনকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানিয়েছে, দেশে চলমান বিনিয়োগ সম্মেলনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন, দেশের অর্থনীতিকে অকার্যকর করতে তারা নাশকতা, ষড়যন্ত্র ও অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছিল।’
গ্রেফতার চার জনকে খুলশী থানার মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি আফতাব।
খুলশী থানায় চার জনসহ হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় চট্টগ্রামে মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হলো। এর আগে চকবাজার থানায় এক কিশোর এবং কোতোয়ালী থানায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।
রেস্তোঁরা, পোশাকের শোরুমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালী, খুলশী, চকবাজার ও পাঁচলাইশ থানায় মোট চারটি মামলা দায়ের হয়েছে।
সারাবাংলা/আরডি/ইআ