সরকার পতনের দিন শ্রমিক খুন: আসামি নওফেল-নাছিরসহ ৩২৫ জন

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং নগর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের মিছিল চলাকালে গুলি করে শ্রমিক খুনের ঘটনায় চট্টগ্রামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ডবলমুরিং থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহতের বাবা মো. ইউনুচ।

গুলিবিদ্ধ নিহত ব্যক্তির নাম মো. ইউসুফ (৩৫)। তার বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম ধলই ইউনিয়নে। তিনি পরিবার নিয়ে ডবলমুরিং থানার ঝর্ণাপাড়া এলাকার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ইউসুফ নগরীর আইস ফ্যাক্টরি রোডের একটি বরফকলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্য অভিযুক্তরা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, মহিউদ্দিন বাচ্চু, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মোরশেদ আক্তার চৌধুরী, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, আবদুস সবুর লিটন, তৌফিক আহম্মদ চৌধুরী, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজম রনি, আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম ও আরশেদুল আলম বাচ্চু।

মামলায় আরজিতে ইউনুচ উল্লেখ করেন, মো. ইউসুফ তার দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রথম ছেলে। প্রায় ছয় বছর ধরে বরফকলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন ইউসুফ। গত বছরের ৫ আগস্ট সকালে তিনি বাসা থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হন। তার স্ত্রী ও সন্তানরা তাদের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেদিন সন্ধ্যা ৭টায় ইউসুফ তার স্ত্রীকে জানান, তিনি নগরীর দেওয়ানহাট এলাকার বিভিন্ন দোকানে বরফ সরবরাহ করতে যাচ্ছেন। ৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার স্ত্রীর বড় বোন কল দিয়ে জানান, ইউসুফ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের একটি মিছিল চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।

ডবলমুরিং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মো. রফিক আহমদ সারাবাংলাকে জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের একটি মিছিল চলাকালে ইউসুফ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন। তার বাবা আজ (বুধবার) হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

সারাবাংলা/আইসি/এসডব্লিউ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন মামলা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল