‘আরেফিন সিদ্দিক আপাদমস্তক একজন ভদ্রলোক ছিলেন’
৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৫০
ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের স্মরণসভার আয়োজন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
স্মরণসভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘তিনি আপাদমস্তক একজন ভদ্রলোক ছিলেন। ক্ষমতায় থেকেও ক্ষমতা যখন থাকবে না এই চিন্তাটি করা অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ। এই কাজটি মূলত আরেফিন সিদ্দিক স্যার করেছিলেন।’
উপাচার্য বলেন, ‘আমি আমার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়ে যাদের সঙ্গে পরামর্শ করতাম তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন। আমি বিশ্বাস করি, মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় চূড়ান্ত বিচারে তিনি উত্তীর্ণ হবেন।’
বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এই স্মরণসভার আয়োজন করা হয় ।
স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য, শিক্ষক, বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা এবং আরেফিন সিদ্দিকের পরিবারের সদস্যরা।
স্মরণসভায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুল হক বলেন, ‘আরেফিন স্যার উপাচার্য থাকাকলীন কখনোই তার চেয়ারের দায়িত্ব ভুলে যায়নি। তবে উনি কখনোই কোনো কিছু কারও উপর চাপিয়ে দেননি। আরেফিন স্যারের রাজনৈতিক মতবাদ দিয়ে তাকে মূল্যায়ন করা আমাদের জন্য দুঃখজনক। তিনি সবসময় রাজনীতির উর্ধ্বে যেয়ে কাজ করেছেন। কে নীল দল, কে সাদা দল এটা তিনি দেখেননি।’
আরেফিন সিদ্দিকের সহধর্মিণী মিরা সিদ্দিক বলেন, ‘উনার মুখে আমি কখনো কারোর বদনাম শুনিনি। আমি বুঝতাম উনি কারো কারণে কষ্ট পাচ্ছেন, তবুও তিনি তার নাম বলতেন না। উনি সবসময় বলতেন, পৃথিবীতে সবথেকে কঠিন কাজ একজন ভালো মানুষ হওয়া।’
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের পরিবারের সদস্য মেহরুবা সিদ্দিক বলেন, ‘তিনি সবসময় ছোট ছোট কাজেও আমাদের উৎসাহ দিতেন। যেকোনো পর্যায়ের মানুষের কথাকেই তিনি মূল্যায়ন করতেন। মানবিক গুণাবলীর জায়গায় তিনি ছিলেন অসাধারণ।’
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৭২ বছর।
সারাবাংলা/এআইএন/এসডব্লিউ
উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ঢাবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক স্মরণসভা