ঢাকা: রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ডাকাতি করতে গিয়ে রেজিয়া বেগম হত্যা মামলায় দশজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, আলাউদ্দিন, শাহিন সরদার, মতিউর রহমান, আলম, সাইদুল ইসলাম, ইমরান ওরফে এমরান, ইশারত আলী ও মাইদুল ইসলাম। এর মধ্যে দেলোয়ার-মাইদুল ছাড়া বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
মামলার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. সেলিম খান জানান, ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে মা ও স্ত্রী-সন্তানসহ ঘুমিয়ে পড়েন সৌদি ফেরত গোলাম কবীর। ভোরে তাদের কাজের মেয়ে সাবিনা এসে গোলাম কবীরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ‘নানি অসুস্থ, দরজা খোলেন’ বলে জানান।
দরজা খুললেই কক্ষে ঢোকেন চার-পাঁচ জন ডাকাত সদস্য। পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে ৪৭ ভরি স্বর্ণালংকার, টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতি করেন তারা; যার মূল্য ৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। প্রায় এক ঘণ্টা ডাকাতি করে তারা চলে যান। এরপর মা রেজিয়া বেগমকে নিজের কক্ষে হাত-পা বাঁধা দেখেন গোলাম কবীর। তবে তার মাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন ডাকাতরা।
এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় মামলা করেন গোলাম কবীর। মামলাটি তদন্ত করে ২০১১ সালের ২৮ মার্চ ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার তৎকালীন এসআই তোফাজ্জল হোসেন। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু হয়। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ এ রায় দেন বিচারক।