Wednesday 16 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন ও শরিয়াহ আইন চায় ইসলামী আন্দোলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১০ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:৪৯ | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:০৫

বৃহস্পতিবার ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে সংস্কার সুপারিশ জমাদান শেষে সংসদ ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা – ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: ‎রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তন করে ‘পিপলস ওয়েলফেয়ার স্টেট অব বাংলাদেশ’ করার প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। একই সঙ্গে শরিয়াহ আইন প্রণয়ন, পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।

‎‎বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সংসদ ভবনে ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে সংস্কার সুপারিশ নিয়ে দলটির মতামত জমা দেন হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহম্মেদ সেখ-এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। দলের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহম্মেদের নেতৃত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, প্রকৌশলী মুহাম্মদ আশরাফুল আলম ও সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

মতামত জমাদান শেষে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন জানান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ১৮২টি সুপারিশের মধ্যে ১৪৫টি প্রস্তাবে একমত ও ২৬টিতে দ্বিমত পোষণ করা হয়েছে। ৪১টি নতুন প্রস্তাব ও মৌলিক চারটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ‎আত্মশুদ্ধি, জবাবদিহিতা, শরিয়াহ আইন প্রণয়ন ও জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি নির্বাচনের বিষয়ে চার মৌলিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

‘রাষ্ট্রের সবক্ষেত্রে সুশাসন, দুর্নীতি, ন্যায় বিচার, উন্নয়ন, মানবাধিকার রক্ষা এবং দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এ চারটি মৌলিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে’- উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।”

‎বাংলাদেশের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে আশরাফ আলী আকন বলেন, “বাংলাদেশের নাম আমরা বলছি- ‘পিপলস ওয়েলফেয়ার স্টেট অব বাংলাদেশ’। একটা জনকল্যাণ রাষ্ট্র। কারণ হলো, জনকল্যাণ রাষ্ট্র নাম শুনলেই মানুষ কল্যাণের কথা ভাববে। আর নামটা দেখার সাথে সাথে অকল্যাণমূলক চিন্তা যেন কোন অন্যায়কারী মানুষের মনে না আসে, সেজন্য আমরা এই নামটা প্রস্তাব করেছি। এ নামের মধ্যেই জনকল্যাণ নিশ্চিত করার কথা বলা রয়েছে।”

বিজ্ঞাপন

অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময়ে ধর্ষণ, চুরি, ডাকারি, সন্ত্রাস অব্যাহত রয়েছে- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকার এসব বন্ধ করতে পারে নি। সরকার ‍যাতে ভক্ষক না হয়ে রক্ষকে পরিণত হয়; ধর্ষণ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান হয়- সেজন্য সর্বজনীন শরিয়াহ আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের প্রস্তাব দিয়েছি আমরা।”

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে সংস্কার সুপারিশ জমা দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা – ছবি: সারাবাংলা

‎এদিকে, দলগুলোর কাছে সংস্কার মতামত নেওয়ার পাশাপাশি সংলাপও করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ইতোমধ্যে ছয়টি দলের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠকও করেছে।

‎কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, “ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ রয়েছে মধ্য জুলাই পর্যন্ত। ইতোমধ্যে আমরা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছি। আশা করি, প্রাথমিক আলোচনা মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বা দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে।”

দলগুলোর প্রস্তাব পর্যালোচনার পর পরবর্তী ধাপের কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

‎ সারাবাংলা/এনএল/আরএস

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

বিজ্ঞাপন

জলকেলিতে মাতোয়ারা পাহাড়িরা
১৭ এপ্রিল ২০২৫ ০০:৩১

আরো

সম্পর্কিত খবর