বিমানবন্দরে জটের কারণে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল: রণধীর জয়সওয়াল
১০ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:০৮ | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৫২
ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে ‘উল্লেখযোগ্য জট’ এর কারণে বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার (৯ এপ্রিল) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
একই সঙ্গে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল হলেও নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রফতানিতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না- বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ভারতের কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ড (সিবিআইসি) গত সোমবার (৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা সংক্রান্ত আদেশটি বাতিল করে দিয়েছে।
গত ২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশ ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা পেয়ে আসছিল।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ওই প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ”তৃতীয় দেশে পণ্য পাঠাতে বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা ২০২০ সালে বর্ধিত করা হয়। এর ফলে গত পাঁচ বছরে ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে ‘উল্লেখযোগ্য জট’ দেখা দেয়। এতে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের পণ্য আটকে থাকছে, বিলম্ব হচ্ছে এবং সরবরাহ ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণেই ভারতের মধ্য দিয়ে বিমানবন্দর ও বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এতে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না।”
জানা যায়, ভারতের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক সমিতি (এইপিসি) দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১৯৯৪ সালের সাধারণ শুল্ক ও বাণিজ্য চুক্তির অনুচ্ছেদ ৫ অনুযায়ী, স্থলবেষ্টিত দেশগুলোতে পণ্যের অবাধ ট্রানজিটের সুযোগ নিশ্চিত করতে বাধ্য সব সদস্য রাষ্ট্র।
সারাবাংলা/আরএস
বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়