দলীয় নেতার পা ভাঙার অভিযোগ যুবদল-ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে
১০ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:১২ | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৪৮
পটুয়াখালী: জেলার মৎস্য বন্দর মহিপুরেরন ধুলাসার ইউনিয়ন যুবদলের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক রাকিব বিশ্বাসকে (৩০) বেধড়ক পিটিয়ে পা ভাঙার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন যুবদল, ওয়ার্ড যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাত নয়টায় ওই ইউনিয়নের বাবলাতলা বাজারের নিউ মার্কেটের পশ্চিম পাশের বালুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় পিটিয়ে রাকিবের বাম পা ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এ ছাড়া মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা রাকিবকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে শরীরের যন্ত্রণা নিয়ে ওই যুবদল নেতা হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন।
যুবদল নেতা রাকিব বিশ্বাস বলেন, বুধবার সকালে জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা জেলেদের মাঝে ৮০ কেজি করে চাল বিতরণ করে ইউনিয়ন পরিষদ। সেখান থেকে আমরা খবর পাই বেশ কিছু নিবন্ধিত জেলের কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে পছন্দ সই ব্যক্তিদের চাল দিচ্ছেন ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক (মাস্টার)। যাদের তিনি চালের স্লিপ দিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০০ থেকে এক হাজার করে টাকা নিয়েছেন। পরে মহিপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবু ও ধুলাসার ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদসহ আমরা বেশ কয়েকজন সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ জানালে চাল দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, সে সময় আবু বক্কর সিদ্দিক মাস্টারের সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় ধুলাসার ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গাজী একান্ত কথা আছে বলে আমাকে নির্জন বালুর মাঠে নিয়ে যায়। পরে সেখানে ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পিন্টু, দফতর সম্পাদক সিদ্দিক, যুবদলের সদস্য আল-আমিন, আবু বক্কর, মহিব, জালাল উদ্দিন কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মোল্লা ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সদস্য নাঈম ফরাজী বেধড়ক মারধর করে। এতে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে তারা আমাকে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে চলে যায়। এ সময় স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করার পর আমার জ্ঞান ফেরে।
ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক (মাস্টার) বলেন, আমার সঙ্গে কথা কাটাকাটি তো দূরের কথা তার সঙ্গে আমার কোন কথাই হয়নি। মারধরের বিষয় আমি কিছুই জানি না।
এ বিষয়ে জানতে ধুলাসার ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গাজীর সঙ্গে মুডোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ধুলাসার ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পিন্টু বলেন, গতকাল রাতে ধুলাসার ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আমাদের জানিয়েছেন রাকিবকে কারা যেন মারধর করেছে। এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না।
মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/এইচআই