‘বিনিয়োগকারীর জন্য বিডাতে ক্যাপ্টেন নিয়োগ দেওয়া হবে’
১১ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:৩১ | আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:২১
ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সহযোগিতা করার জন্য সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। প্রত্যেক বিনিয়োগকারীর জন্য বিডাতে একজন করে ক্যাপ্টেন নিয়োগ দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বনানীর হোটেল সারিনাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘প্রত্যেকটা ইনভেস্টরের জন্য একজন ক্যাপ্টেন থাকবে। যে ক্যাপ্টেন আমাদের আগামী দিনের বিনিয়োগকারীর পুরো প্রজেক্ট এ টু জেড এই ক্যাপ্টেন এর দায়িত্বে থাকবে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীকে কোনো অফিসে যেতে হবে না। কোনো মন্ত্রণালয় যেতে হবে না। ওই ক্যাপ্টেনকে সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। যেমন লাইসেন্স এক সপ্তাহের মধ্যে, তাদের ভিসা অনুমতি এক সপ্তাহের মধ্যে ইত্যাদি। আমরা একটা সময় নির্ধারণ করে দেব, যাতে করে বিনিয়োগকারীদের কোথাও যেতে হবে না।’
তিনি বলেন, ‘অর্থনীতিতে যতধরনের সংস্কার হয়েছে তার প্রায় সবগুলোই বিএনপির করা। আগামী দিনের যে অর্থনীতি হবে সেটা মাথায় রেখে আমরা একটা পরিকল্পনা আগেভাগেই করেছি। আমাদের ভিশন ২০৩০-এ এটার প্রতিফলন ঘটেছে। ৩১ দফার সংস্কারের মধ্যেও তার প্রতিফলন ঘটেছে। সেটাকে মাথায় রেখে আমরা আমাদের দেশে আসা বিনিয়োগকারীদের বলছি।’
আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা কী কী পরিবর্তন আনব এবং বিনিয়োগকারীরা যাতে বাধার মুখে না পরে সে জন্য আগামী দিনে আমূল পরিবর্তন আনতে চাই। তার মধ্যে একটি সিরিয়াস ডিরেগুলেশন করব। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে একটি মুক্ত অবস্থায় নিয়ে যেতে চাই। বিনিয়োগকারীদের এয়ারপোর্ট থেকে আনা, তাদের বিনিয়োগ করা, উৎপাদনে যাওয়া এবং উৎপাদনের পরবর্তী সময় তাদের সুযোগ-সুবিধা যাতে ব্যাহত না হয়, সে ব্যাপারে আমাদের পরিকল্পনায় থাকা সবকিছু খুলে বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিনিয়োগকারীরা এখন রি লোকেশন করার চেষ্টা করছেন। এজন্য তারা ভালো খুঁজে বেড়াচ্ছে। সবাই রিক্যালিব্রেট করছে তাদের পলিসি। সেজন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। সেই প্রস্তুতি বিএনপি নিয়েছে আগামী দিনের জন্য। আমরা আশা করি আমাদের যে প্রস্তুতি, আমাদের যে নীতিমালা এটার মাধ্যমে বিএনপি বিগত দিনে যেভাবে রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা করেছে, যেভাবে বেসরকারি খাতের জন্য স্বাধীনতা দিয়েছে। আমরা মনে করি আমাদের যে, প্রস্তাবনা এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আগামী দিনের বাংলাদেশে একটি নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। জাতীয় স্বার্থে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিনিয়োগকারীদের যে আগ্রহ সেটা আগামী দিনের নির্বাচিত সরকারকে নিয়ে। কারণ, বিনিয়োগ তো এটা অল্প সময়ের জন্য নয়। সুতরাং তারা জানতে চাচ্ছে আগামী দিনে আমাদের নীতিমালাগুলো কী হবে। সেগুলোই আমরা তাদের সামনে তুলে ধরছি। এবং আমরা আশা করি আমরা যে নীতিমালা প্রস্তুত করেছি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য তাদের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হবে।’
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম