গাজায় ৩৬ ইসরায়েলি হামলায় নিহত শুধু নারী-শিশু: জাতিসংঘ
১২ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৫২ | আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:৩৩
জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিলের মধ্যে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অন্তত ৩৬টি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন শুধুমাত্র ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুরা। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, উল্লিখিত সময়ে গাজার আবাসিক ভবন এবং বাস্তুচ্যুতদের জন্য স্থাপিত তাঁবুতে ইসরায়েল ২২৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ৩৬টি হামলার বিষয়ে জাতিসংঘ নিশ্চিত হয়েছে যে, সেসব হামলায় কেবল নারী ও শিশু নিহত হয়েছে।
এই তথ্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন মার্চে যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরায়েলি বাহিনী ফের হামলা শুরু করার পর থেকে গাজায় অন্তত দেড় হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় পূর্ণ অবরোধ আরোপ করায় খাদ্য, পানি, চিকিৎসা সামগ্রীসহ জরুরি পণ্য সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘এক মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় এক ফোঁটা সাহায্যও ঢোকেনি; না খাবার, না জ্বালানি, না ওষুধ, না বাণিজ্যিক পণ্য। মানবিক সহায়তার অভাবে গাজা এখন এক মৃত্যু উপত্যকা।’
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ভোর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে খান ইউনুসে এক পরিবারের ১০ সদস্যও রয়েছেন যাদের সাতজনই শিশু।
ইসরায়েল সেনাবাহিনী দক্ষিণ গাজায় আরও এলাকা দখলের পরিকল্পনা করছে এবং সেখানে নতুন করে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ হওয়ার পর থেকে গাজায় প্রায় ৪ লাখ ফিলিস্তিনি আবারও জোরপূর্বক স্থানচ্যুত হয়েছেন। সংস্থাটি বলেছে, ‘যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটি সবচেয়ে দীর্ঘ অবরোধ, এবং অবিলম্বে অবরোধ তুলে দিয়ে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়া জরুরি।’
সারাবাংলা/এনজে