Sunday 13 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নোয়াখালীতে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদককে পিটিয়ে হত্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১২ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:২৩

নিহত আবদুল কাদের মিলন (৩৭)। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আবদুল কাদের মিলন (৩৭) নামে এক যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুবৃত্তরা। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে বাড়ি ফেরার পথে চর পার্বতী ২নং ওয়ার্ডের হাজারী হাটের পূর্ব পাশে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাকে গণপিটুনি দিয়ে ফেলে রেখে যায়।

নিহত আবদুল কাদের মিলন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৫নং ওয়ার্ডের মো. ইসমাইলের ছেলে।

নিহতের ছোট ভাই আব্দুর রহিম রাকিব জানান, গত ৫ আগস্টের পর তার বড় ভাই মিলন বাড়ি থেকে চলে যান। এরপর তিনি সৌদি আরব গিয়ে ওমরাহ পালন করেন। ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিন তিনি দেশে ফিরেন।

তিনি বলেন, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে আমার ভাই মিলন আমার সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে পার্শ্ববর্তী ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলায় তার অসুস্থ শালাকে দেখতে যায়। রাত ৯টার দিকে সেখান থেকে ফেরার পথে কোম্পানীগঞ্জের চৌধুরীহাট বাজার এলাকার চুয়ানির টেক এলাকায় আমাদের সিএনজি পৌঁছালে ২-৩টি মোটরসাইকেলে আরোহী আমাদের সিএনজিকে ফলো করে আমাদের ধাওয়া করে। বিষয়টি আমার ভাই বুঝতে পেরে তিনি তার মামা শশুর যুবদল নেতা মাইন উদ্দিনকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানায়। এরমধ্যে মোটরসাইকে আরোহীরা আমাদের ধরে পেলে।

তিনি আরও বলেন, পরে হামলাকারীরা আমার ভাইকে আমার থেকে ছিনিয়ে নিয়ে উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাফেজ আব্দুর রহীম এতিম খানার সামনে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে লোহার পাইপ দিয়ে ৪ঘন্টা ধাপে ধাপে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। যুবদল নেতা মাইন উদ্দিন আমাদের বাঁচাতে এলে হামলাকারীদের তোপের মুখে পড়ে তিনি চলে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রথমে আমার ভাইকে হামলাকারীদের থেকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। পরে সেনাবাহিনী এসে তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবমতি হলে সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে ১০ টার দিকে ঢাকার কাচপুর এলাকায় সে মারা যায়।

বিজ্ঞাপন

নিহতের স্ত্রী জোলেখা বেগম বলেন, আমার স্বামীর সঙ্গে আমাদের মেম্বার যুবদল নেতা সুমন ও চরপার্বতীর যুবদল নেতা মাইনুদ্দিন ও এক সাংবাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তিনি ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকায় ছিলেননা। তারা আশ্বাস দেওয়ায় সে বাড়িতে আসে। তারপর তার অবস্থান নিশ্চিত করে চরপার্বতীর জামায়াতের লোকজনকে জানায়। তারা গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।

চরপার্বতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও একই ইউনিয়নের জামায়াতের আমির কাজী হানিফ বলেন, এমন মৃত্যু কারোই কাম্য নয়। এটার সঙ্গে জামায়াতের কেউই জড়িত নয়। তবে কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হোক।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, মৃত্যুর খবর শুনেছি। তবে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সারাবাংলা/এনজে

ইউনিয়ন যুবলীগ হত্যা

বিজ্ঞাপন

ছবির গল্প মার্চ ফর গাজা
১২ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:৪৫

আরো

সম্পর্কিত খবর