ইসরায়েল বিরোধী স্লোগানে মুখরিত ঢাবি
১২ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:৪১ | আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৫৩
ঢাবি: ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা ও জবরদখলের প্রতিবাদে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ বিক্ষোভে ইসরায়েল বিরোধী স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এতে ছাত্র-জনতার হাতে ইসরায়েল বিরোধী নানা প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জড়ো হয়েছে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা বিভিন্ন স্তরের ছাত্র-জনতা।
এছাড়া, মূল কর্মসূচি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হওয়ার কথা থাকলেও আগত জন-সাধারণকে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। সেখান থেকে ইসরায়েল বিরোধী নানা স্লোগান দিচ্ছে তারা।
এ সময় জন-জন-সাধারণের মুখে ‘ নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’, ‘ সাবিলুনা সাবিলুনা, আল জিহাদ আল জিহাদ’, ‘ আমি কে তুমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’, ‘ নেতানিয়াহুর চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘ ইসরাইলি পণ্য, বয়কট বয়কট’, ‘ দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’সহ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এ ছাড়াও, তাদের হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা, কালেমাখচিত পতাকা ও ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরাইলি বিরোধী ফেস্টুন দেখা যায়।
রায়েরবাগ থেকে আসা মোবশশির হোসাইন নামে এক ব্যক্তি সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিশ্বের সকল মুসলমান পরস্পর ভাই ভাই। যেখানে এক ভাই আঘাত পেলে অন্য ভাইও কষ্ট পাবে। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েল কর্তৃক যুগ যুগ ধরে চলমান নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাতে ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘রাসূল (সাঃ) অন্যায় দেখে হাত অথবা মুখ অথবা মন থেকে প্রতিবাদ জানাতে বলেছেন। যেহেতু আমাদের এখন হাত দিয়ে প্রতিবাদ জানানোর সুযোগ নেই তাই আমরা এখানে মুখ দিয়ে প্রতিবাদ জানাতে এসেছি।’
কুমিল্লা থেকে আসা উবায়দুর রহমান নামে একজন বলেন, ‘আমরা এখানে বিপুল পরিমাণ উপস্থিতির মাধ্যমে বিশ্বকে জানাতে চাই যে আমরা ফিলিস্থিনিদের পাশে আছি। তবে যদি ফিলিস্তিন আমাদের পাশের কোন দেশ হতো তাহলে আমরা অবশ্যই সশস্ত্র প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের পাশে থাকতাম।’
উল্লেখ্য, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ বিক্ষোভে আসা শুরু করেছে বিভিন্ন স্তরের মানুষ। যার ফলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলামটর এলাকা পর্যন্ত যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে।
সারাবাংলা/এআইএন/এমপি