চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখোশে আগুন রহস্যজনক নয়, পরিকল্পিত: সাদা দল
১২ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:০৩ | আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৫৩
চারুকলা অনুষদে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফে আগুন দেওয়ায় সাদা দলের নিন্দা। ছবি: সারাবাংলা
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনাকে ‘রহস্যজনক নয়’ ও ‘পরিকল্পিত’ বলে দাবি করেছেন ঢাবির জাতীয়তাবাদী মতাদর্শের শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। একই সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
শনিবার (১২ এপ্রিল) ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম ও অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকারের সই করা এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, বাঙালি জাতির ঐতিহ্যের স্মারক পহেলা বৈশাখ। এ উপলক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রা উদযাপনের আর মাত্র দুইদিন বাকি। আনন্দ শোভাযাত্রা উদযাপনের জন্য ফ্যাসিস্টদের প্রতিকৃতি তৈরিসহ অন্যান্য প্রস্তুতি যখন প্রায় শেষ দিকে তখন শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোররাতে চারুকলা অনুষদের চার দেওয়ালের ভেতরে তৈরি করা এসব প্রতিকৃতিতে আগুন দেওয়া নিছক কোনো রহস্যজনক নয়। এটি একটি পরিকল্পিত অগ্নিকান্ড। এ ঘটনায় ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার সরকারের দোসর কিংবা ঘাপটি মেরে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের হাত থাকার সম্ভাবনা বেশি।
নেতারা অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ঢাবি ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রা পালনের লক্ষ্যে তৈরিকৃত প্রতিকৃতিসহ অন্যান্য জিনিসের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর চারুকলার শোভাযাত্রা নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক থাকা অত্যাবশ্যক ছিল। অতএব পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করি।’
ঢাবি সাদা দলের নেতারা অবিলম্বে চারুকলায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। সেইসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান।
এর আগে, আজ ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে চারুকলায় আগুন লেগে এবারের শোভাযাত্রার বেশ কয়েকটি মোটিফ পুড়ে যায়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন এবং ঘটনাটি তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
সারাবাংলা/এআইএন/এমপি