ফিলিস্তিনের পক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ঢাবি ক্যাম্পাস জনসমুদ্র
১২ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৩৪ | আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:১২
ঢাকা: ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফা শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোবিত গণহত্যার প্রতিবাদে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট’-এর ব্যানারে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে যোগ দিতে আসা লাখো মানুষের গণজমায়েত এই মুহূর্তে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
রাজধানীর বাংলামোটর, কাকরাইল মোড়, জিরো পয়েন্ট, বকশিবাজার মোড় ও নীলক্ষেত মোড় থেকে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসা মানুষের ঢল উদ্যান ছাপিয়ে টিএসসি মোড়, ঢাবি হাকিম চত্বর, মল চত্বর, ভিসি চত্বর, দোয়েল চত্বর লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে।
দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ‘মার্চ ফর গাজা’ স্মরণকালের ইতিহাসে ঢাকার সবচেয়ে বড় গণজমায়েত পরিণত হয়েছে। তীব্র গরম উপেক্ষা করে লাখ লাখ মানুষ নির্যাতিত ফিলিস্তিদের পক্ষে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন।
শনিবার (১২ এপ্রিল) জোহরের নামাজের পরই ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে পূর্ব নির্ধারিত পয়েন্টে জমা হয় মুসল্লিরা। এরপর সেখানে থেকে দুপুর ২ টায় মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদানের দিকে রওনা হন তারা। দুপুর আড়াইটা নাগাদ উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট গেট ও টিএস গেট দিয়ে উদ্যানে প্রবেশ করে হাজার হাজার মানুষ।
যারা কাকরাইল ও গুলিস্থান জিরো পয়েন্ট থেকে রওনা দিয়েছেন, তারা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন গেট দিয়ে ঢুকছেন আর যারা বাংলামোটর, বকশিবাজার ও নীলক্ষেত থেকে রওনা দিয়েছেন তারা টিএসসংগলগ্ন গেইট দিয়ে উদ্যানে প্রবেশ করছেন।
কিন্তু, সংকীর্ণ এই দুই গেট দিয়ে লাখ লাখ মানুষের প্রবেশ রীতিমতো যুদ্ধাবস্থা তৈরি করেছে। বাইরের মানুষ ভেতরে যাওয়ার জন্য এবং ভেতরে মানুষ বাইরে আসার জন্য রীতিমতো যুদ্ধ শুরু করেছে। তীব্র গরমের কারণে নিজ নিজ অবস্থানকে সুবিধার মনে করছে না মানুষ। ফলে গেট দিয়ে বের হওয়ার বা প্রবেশের সুযোগ যারা পাচ্ছেন না, তারা প্রাচীর টপকাচ্ছেন। ফলে মেট্রোরেল স্টেশনসংলগ্ন নিরাপত্তা প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার উপক্রম তৈরি হয়েছে।
এদিকে মুহুর্মুহু স্লোগান এবং শব্দযন্ত্রের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত না করায় সভা মঞ্চ থেকে দেওয়া বক্তাদের বক্তব্য কিছুই শোনা যাচ্ছে না। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি মানুষের উপস্থিতি আয়োজনকে সাফল্য মণ্ডিত করার পাশাপাশি কিছুটা জনদুর্ভোগও সৃষ্টি করেছে।
এর মধ্যেও ক্লন্তিহীন স্লোগান ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’, ‘ইসরায়েলির কালোহাত ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও’, ‘জিহাদ জিহাদ, ফি সাবিলিল্লাহ ফিসাবিলিল্লাহ’ স্লোগানে প্রকম্পিত করছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ঢাবি ক্যাম্পাস।
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম