Monday 14 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ২ বিলিয়ন ডলার লুট করার প্লান ছিল’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:১৮ | আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:০৬

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ফাইল ছবি

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ২ বিলিয়ন ডলার লুট করার প্লান ছিল। কিন্তু তারা লুট করতে পেরেছে ৮৮ মিলিয়ন ডলার। এরমধ্যে ৬৬ মিলিয়ন উদ্ধার করা যায়নি বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

রোববার ( ১৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ ব্রিফিং এ এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, দুই বিলিয়ন ডলার যদি ব্যাংক থেকে চলে যেত তাহলে আজ আমরা দুর্ভিক্ষের অবস্থায় পড়ে যেতাম। এটিকে জঘন্য অর্থনৈতিক অপরাধ উল্লেখ করেন আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, এটি বাংলাদেশ বিরোধী অনেক বড় ষড়যন্ত্র। বাকি টাকা ফিরিয়ে আনার জন্য উদ্যোগ আরও গতিশীল করার কথা বলেছেন তিনি।

আইন উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে বিপুল পরিমান টাকা হ্যাকিং করা হয়েছে সেটা নিয়ে একটি রিভিউ কমিটি করা হয়েছিলো। সেই কমিটিতে আমি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এ কমিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরও রয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘বিগত সরকার এটার তদন্ত করতে সীমাহীন গড়িমসি করেছে। এটা সিআইডি যে তদন্ত করেছিলো সেখানে স্পর্ষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যেসব কর্মকর্তা জড়িত ছিল তাদের নাম অভিযোগ থেকে যেন বাদ দেওয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি তাদের (সিআইডি) কাছ থেকে আমরা অবহিত হয়েছি। তাদেরকে আমরা বলেছি রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে যাদের নাম এসেছিলো তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিলো সেটা জানতে চেয়েছি। ফরাসউদ্দীন একটা রিপোর্ট দিয়েছিলেন ওটার পর্যালোচনা শুনেছি এবং আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এরমধ্যে রয়েছে বাকি টাকা উদ্ধারের জন্য যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা গতিশীল করা। বাংলাদেশ ব্যাংকের যারা অপরাধে জড়িত ছিল তাদের বিচারের আওতায় আনা, এ ধরনের অপরাধের পূনরাবৃত্তি রোধে ব্যাংক কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা পর্যালোচনা করা। বিষয়টি আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জানতে চেয়েছি এবং প্রধান উপদেষ্টার যে তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা রয়েছেন ফয়েজ আহমেত তৈয়ব তিনি বিষয়টি দেখবেন। তিনি রিভিউ কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সিআইডি প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে যাদের নাম এসেছে এবং ফরাসউদ্দীন সাহেবের রিপোর্টে যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কি ব্যবস্থা নিয়েছে এবং কী ব্যবস্থা নিতে হবে সেটা বলেছি। সেটা এখন বলতে যাচ্ছি না। ওই সময়ে কিছু লিগ্যাল ফার্মকে কাজ দেওয়া হয়েছিলো। সেখানে আগের সরকারের আমলে ঘনিষ্ট একজন আইনজীবি জড়িত, সেখানে লক্ষ লক্ষ ডলার ব্যয় করা হয়েছে। কয়েকদিন আগেও ৮ লাখ ডলার দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা শুনেছি তাদের সঙ্গে ইমেল আদার প্রদান করলেও নাকি তাদের টাকা দিতে হয়। এই ফার্মকে কেন বাছাই করা হয়েছিলো এতো টাকা দিয়ে এই ফার্মকে কেন বাছাই করা এবং ওই ঘনিষ্ট আইনজীবীর কি রোল ছিল। সেখানে কোনো আর্থিক অণিয়ম আছে কীনা অস্বাভাবিকতা আছে কীনা সেটা আমরা খতিয়ে দেখবো।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদন ও নিয়ইয়র্কে যে বিচার হচ্ছে এই দুইয়ের মধ্যে সম্পর্ক কতখানি রয়েছে। এর আইনগতভাবে পরীক্ষা করে দেখার জন্য ড. কামাল হোসেনের ফার্মের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। দুই সপ্তাহ পরে আবার কমিটি বৈঠকে বসবে বলে জানান তিনি।

সারাবাংলা/জেআর/এমপি

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বাংলাদেশ ব্যাংক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর