ঢাকা: আরও ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন বাতিল করেছে সরকার।
রোববার (১৩ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সদ্য সমাপ্ত বিনিয়োগ সম্মেলনের তথ্য জানাতে আয়োজিত এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান নাহিয়ান রহমান রোচি, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, সরকারি ও বেসরকারি ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। বাতিল করা বেজার সরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো হল- কক্সবাজারের সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক, বাগেরহাটের সুন্দরবন ট্যুরিজম পার্ক, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল, গাজীপুরের শ্রীপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ময়মনসিংহের ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল। অনুমোদন বাতিল করা বেসরকারি পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চল হল- মুন্সিগঞ্জের গার্মেন্টস শিল্প পার্ক বিজিএমইএ, সুনামগঞ্জের ছাতক ইকোনমিক জোন, বাগেরহাটের ফমকম ইকোনমিক জোন, ঢাকার সিটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও অর্থনৈতিক অঞ্চল।
বেজার অনুমোদিত অর্থনৈতিক অঞ্চল ৯৭টি। এর মধ্যে ৬৮টি সরকারি ও ২৯টি বেসরকারি। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সেই সিদ্ধান্ত থেকে আগেই সরে এসেছে।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন দায়িত্ব নেওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আগামী ১০ বছরে সর্বচ্চ ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করবে সরকার। ১০ বছরের একটি সময় নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
রোববার সংবাদ সম্মেলনে বিডার চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি আগেই আপনাদের জানিয়েছি ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল এর দরকার নেই। আজকে ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল এর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। আমরা মনে করি এগুলোর প্রয়োজন নেই। আর ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক অঞ্চল অনুমোদন দেয়া হলে আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠক হতে হবে। তাদের কমিট করতে হবে অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে তারা সেখানে তাদের সার্ভিস সঠিক সময়ে দিতে পারবে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়সহ এমন যে মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সাপোর্ট প্রয়োজন হয় সেটা দিতে তারা কমিটেট থাকবে। এখন যেটা হয় অর্থনৈতিক অঞ্চল অনুমোদন হয়ে যায়, কিন্তু এর পরও বছর পর বছর বিনিয়োগকারিরা সেখানে সঠিকভাবে সেবা পাচ্ছেন না।’