ছায়ানটের এবারের আয়োজনে যেসব পরিবেশনা ছিল
১৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:০৯ | আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৩১
ঢাকা: ভোরের আলো ফুটতে ফুটতে, সুপ্রিয়া দাসের ভৈরবীর রাগালাপে ছায়ানটের ১৪৩২ বর্ষবরণের আয়োজন শুরু করে ছায়ানট। সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর রমনা উদ্যানের বটমূলে ছায়ানটের ৫৮তম এ আয়োজন যথারীতি শুরু হয় নতুন বছরের প্রথম দিন ভোর সোয়া ৬টায়। বাঙালি সমাজকে নিয়ে মুক্তির পথযাত্রী হতে এবার ছায়ানটের বর্ষবরণের বার্তা- ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’।
ছায়ানটের প্রভাতি এই আয়োজনে রাগালাপের পর সম্মেলক কণ্ঠে ‘নতুন প্রাণ দাও ‘রবীন্দ্র সংগীত গায় শিল্পীরা। এরপর পর পর ২ টি একক গান, দীপ্র নিশান্তের কন্ঠে পরিবেশন করেন ‘তিমির দুয়ার খোলো’। এবং সেঁজুতি বড়ুয়ার কণ্ঠে শোনান, আপনারে দিয়ে রচেলর রর কি এ’ গানটি। এ দু’টি গানই রবীন্দ্র সংগীত।
এরপর কাজী নজরুল ইসলামের সম্মেলক গান তুমি প্রভাতের সকরুণ ভৈরবী পরিবেশিত হয় সবার কন্ঠে। একক গান ভেঙেছো দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময় গানটি গান মোস্তাফিজুর রহমাস তুর্য।
গানের পর পালাক্রমে এ প্রভাতি আয়োজনে শোনানো হয় কবিতা। রবীন্দ্রনাথের ঝড়ের খেয়া’র নির্বাচিত অংশ পাঠ করেন, জহিরুল হক খান।
এরপর আবার রবীন্দ্রনাথের সম্মেলক গান ‘জয় হোক তব জয়’। একক গান রবীন্দ্রসংগীত তোর ভিতরে জাগিয়া কে যে গানটি গায় ফারজানা আক্তার পপি। রবীন্দ্রের পর নজরুল সংগীত জগতের নাথ করো পার হে’ গানটি গায় সুমন মজুমদার।
এরপর আবার রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশিত হয়, সবার কণ্ঠে সম্মেলক মোরা সত্যের’পরে মন।
ফারহানা আক্তার শ্যার্লি গায় দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘ আজি নতুন রতনে গানটি। কাজী নজরুলের, গগনে প্রলয় মেঘের মেলা গানটি গায় খায়রুল আনাম শাকিল।
এরপর আবার কবিতা। পাঠ করেন সুমনা বিশ্বাস। কাজী নজরুলের দাও শৌর্য, দাও ধৈর্য কবিতা।
সম্মেলক গান এরপর, রবীন্দ্র সংগীত,আমার মুক্তি আলোয় আলোয় পরিবেশিত হয় সবার কণ্ঠে।
রবীন্দ্র লাইসা আহমদ লিসা গান, আকাশে দুই হাতে প্রেম বিলায়। নজরুল সংগীত মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম গানটি সবাই মিলে পরিবেশন করা হয়। নজরুল সংগীত ভাইয়ের দোরে ভাই কেঁদে যায় গানটি গায় সৈয়দা সনজিদা জোহরা বীথিকা। সুস্মিতা দেবনাথ শুচি গায় নজরুলের মৃত্যু না, নাই দুঃখ গানটি।
এরপর সম্মেলক গান আব্দুল লতিফের, এই বাংলা রবি ঠাকুরের গানটি গায় সবাই। একক গান পরিবেশন করেন, আবুল কালাম আজাদ। তিনি রশীদ উদ্দিনের লেখা ও সুর করা, এ বিশ্ব মাঝে যেখানে যা সাজে গানটি গান। লালন শাহর, মন সহজে কি সই হবা…. গানটি গান চন্দনা মজুমদার।
এরপর কবিতা আবৃতি করেন জয়ন্ত রায়। তিনি পাঠ করেন, অনিকেত রাজেশ’র সভ্যতা কবিতাটি।
ও আলোর পথযাত্রী, সলিল চৌধুরীর লেখা ও সির করা সম্মেলক গানটি গান সবাই। পর পর দু’টি সম্মেলক গান হয়। দ্বিতীয় সম্মেলক গানটি ছিল আইজ আইলো রে বছর ঘুরি।
এরপর ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি, সারওয়ার আলী কখন ও জাতীয় সংগীত দিয়ে শেষ হয় ১৪৩২ এর বরণানুষ্ঠান। এছাড়া এ আয়োজনের মাঝে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অনুষ্ঠানে এক মিনিট নীরবতাও পালন করে ছায়ানট।
সারাবাংলা/এনএল/এসআর