নাম-পরিচয় প্রকাশ পাওয়ায় পালিয়েছে রাকিব: ডিএমপি
১৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৫০ | আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৫০
ঢাকা: আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য চারুকলা ইনস্টিটিউটে প্রস্তুত করা ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’তে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িতকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি ডিএমপি কমিশনার পহেলা বৈশাখের দিন সুখবর দেওয়ার কথা বললেও এখনো জড়িত যুবককে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ বলছে, অভিযুক্তের নাম-পরিচয় প্রকাশ পাওয়ার পর ওই যুবককে গ্রেফতার করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে রমনা বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি রমনা) মাসুদ আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘যে কারণেই হোক আগুন দেওয়া জড়িত শিক্ষার্থীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। এখন ওই যুবক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে অভিযুক্ত যুবক ও মদতদাতারা যেখানেই থাক না কেন, অভিযান অব্যাহত রয়েছে, ধরা পড়বেই।’
অন্যদিকে ১৩ এপ্রিল ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছিলেন, ‘সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শোভাযাত্রা শুরুর আগেই ডিটেকশনের ক্ষেত্রে সন্তোষজনক পর্যায়ে চলে যাব। সম্ভব যদি হয়, বাই দিস টাইম, দুর্বৃত্তদের অ্যারেস্ট করতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।’
তবে ডিএমপি কমিশনার এমন আশার কথা শোনালেও পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রা শেষ হওয়ার পরও অভিযুক্তকে গ্রেফতারে কোনো অগ্রগতি জানাতে পারেনি পুলিশ। আগুন দেওয়ার ঘটনায় কেউ গ্রেফতার আছে কি না? জানতে চাইলে সোমবার বিকেল ৫টায় ডিএমপির মিডিয়া শাখার উপকমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, ‘অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এখনো কেউ গ্রেফতার নেই।’
ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে আগুন দেওয়ার ঘটনার সিসি ক্যামেরার ভিডিও রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আরবি বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করেন।
তারা বলছেন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওই যুবক থাকতেন মাস্টারদা সূর্যসেন হলে। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের অনুসারী হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাকে আর হলে দেখা যায়নি।
আরবি বিভাগের ওই ব্যাচের শিক্ষার্থী শরীফ আহমেদ বলেন, ‘আমরা সবাই তাকে ভিডিও দেখে চিনতে পেরেছি। সে কয়েকদিন আগে বিজয় ’৭১ হলের সামনে এসে ছাত্রলীগের স্লোগান দিয়ে গেছে। তার ফেসবুক কমেন্ট ও পোস্ট এখনো মারাত্মক লেভেলের আক্রমণাত্মক।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদেরও মনে হয়েছে ওই ছেলে হয়ে থাকতে পারে। আমরা বিষয়টা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। এখন তদন্ত চলছে।’
সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম