Tuesday 15 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সারাদেশে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন

সারাবাংলা ডেস্ক
১৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:২৬ | আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:২১

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ষবরণ

সারাবাংলা: সারাদেশে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে বাঙালির সর্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখ। সোমবার (১৪ এপ্রিল) জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, লোকজ মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোগেও উদযাপিত হচ্ছে দিনটি। সারাবাংলার ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ও শিক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় করেসপন্ডেন্টদের পাঠানো প্রতিবেদনে বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপন…

বিজ্ঞাপন

রংপুর: সকালে বাংলা নতুন বছর-১৪৩২ কে স্বাগত জানিয়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়নসহ বিভিন্ন স্থানে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বর্ষবরণ।

সকাল ১০টায় রংপুর জিলা স্কুলের বটতলা থেকে রংপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গ্রামীণ ঐতিহ্য তুলে ধরে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রংপুর টাউন হল মাঠে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি, মুখোশ, পাপেট, পাখি, মাছসহ নানা বিশালাকৃতির প্রতিকৃতি শিল্পকর্মের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।

এর আগে রংপুর জিলা স্কুলের বৈশাখী বটতলা মঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই রংপুরবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম এনডিসি, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, মহানগর পুলিশে কমিশনার মজিদ আলী, জেলা পুলিশ সুপার আবু সাইম। আলোচনা পর্বে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল।

অপরদিকে, সকালে সাংস্কৃতিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে রংপুর টাউন হল চত্বর থেকে আরেকটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিভিন্ন সড়ক করে। এতে নাঙ্গল-জোয়াল ও রঙিন পোশাকে গানে গানে ফুটে ওঠে আবহমান গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়ার ঐতিহ্য।

এ ছাড়াও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর সরকারি কলেজ, সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বর্ষবরণের নানা আয়োজন করা হয়।

খুলনা: যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দঘন পরিবেশে খুলনায় বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপিত হয়েছে। খুলনা জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, লোকজ মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বিজ্ঞাপন

সকালে রেলওয়ে স্টেশন প্রাঙ্গণ থেকে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহিদ হাদিস পার্কে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় সরকারি-বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে খুলনা শহিদ হাদিস পার্কে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার।

খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. হুসাইন শওকত, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) দেবপ্রসাদ পাল, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম, পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন, সরকারি-বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। দিনব্যাপী নানা আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার বরণ করে নেয় বাংলা নতুন বছরকে।

সকালে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো.. এসো …’ বর্ষ আবাহন সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে সূচনা হয় দিনব্যাপী বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতার। এরপর সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম।

নওগাঁ: বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে ও বর্ণিল আয়োজনে বর্ষবরণে আনন্দ শোভাযাত্রায় নওগাঁয় নতুন বছরকে বরণ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল ৮টায় শহরের এটিম মাঠ থেকে ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ এই স্লোগানে বের করা হয় একটি আনন্দ শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটির নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

আনন্দ শোভাযাত্রাটি শুরু হওয়ার আগে সকাল থেকেই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে চিরচেনা গ্রাম বাংলার নানা ঐতিহ্য তুলে ধরে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে রঙিন পোশাকে শহরের এটিম মাঠ এসে জড়ো হন সাধারণ মানুষ। পরে তাদের উপস্থিতি শুরু হয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা।

শোভাযাত্রায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি, ঘোড়া, পালকি, মাটির তৈরি বাসনসহ বিভিন্ন বর্ণের বেলুন ফেস্টুন, মাথাল শোভাযাত্রাকে বর্ণিল করে তোলে।

এ সময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেনি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

নাটোর: নাটোরের সিংড়ায় বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সকাল ১০টায় উপজেলা প্রাঙ্গণ থেকে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, লোকজ মেলা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম রব্বানী সরদার, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার ফরিদ, উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মো. তাশরিফুল ইসলাম, সিংড়া থানার ওসি আসমাউল হক, উপজেলা প্রকৌশলী আহম্মেদ রফিক, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবু দাউদ প্রমুখ।

জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে সকাল সাড়ে ৯টায় নববর্ষ উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার, ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ক্যাম্পাসে শেষ হয়।

‘বিপ্লবের সিঁড়ি বেয়ে আসুক নেমে আলো, নববর্ষে মুক্ত জীবন থাকুক আরও ভালো প্রতিপাদ্য সামনে রেখে চারুকলা অনুষদের আয়োজনে শোভাযাত্রায় সূর্যমুখী ও শাপলা ফুল, অরিগামি পাখি, চড়কি, তালপাতার সেপাই, লোকজ খেলনা ও গরুর গাড়ির স্থাপত্য গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনগুলো প্রদর্শিত হয়।

শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের সামনে ও পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল মাঠে বৈশাখী মেলা এবং ভাষাশহিদ রফিক ভবনের নিচতলায় প্রকাশনা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের উদ্যোগে মঞ্চস্থ হয় জনপ্রিয় যাত্রাপালা ‘ভেলুয়া সুন্দরী’।

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় বর্ষবরণে সকাল ৮টায় ভি.জে.সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর একই স্থান থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার খন্দাকার গোলাম মওলার নেতৃত্বে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়ে চুয়াডাঙ্গা শহর প্রদক্ষিণ শেষে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে এসে শেষ হয়।

শোভাযাত্রা শেষে সরকারি কলেজে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

পরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনের শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চ চত্বরে ৩ দিন ব্যাপী লোকজ সাংস্কৃতিক মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। মেলায় গ্রামীণ ঐতিহ্য তুলে ধরে, রকমারি খাবার, মৃৎশিল্প, পোশাক শোভা পায়।

কুমিল্লা: সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও সফলতায় ভরে উঠুক প্রতিটি মানুষের জীবন। এই স্লোগানকে সামনে রেখে কুমিল্লায় জাঁকজমকভাবে পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ মাঠ থেকে পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানারসহ রঙবেরঙের সাজে সজ্জিত হয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেয় বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও সংগঠনের কর্মীরা। সকাল ৯টায় আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ মাঠে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন কুমিল্লা জেলা মো. আমিনুল কায়সার, পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খাঁন, বিএনপির চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক ওবায়দুল বারী আবু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবু রায়হান, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য হাফসা জাহান, জাতীয় নাগরিক পার্টির কুমিল্লা মহানগরের সদস্য ইম্পা ফারহাসহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন নেতারা।

কক্সবাজার: কক্সবাজারে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা, বৈশাখের গান, লোকজ মেলা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ এ প্রতিপাদ্যে আজ সকালে সমুদ্র সৈকতের সীগাল পয়েন্ট থেকে বের করা হয় বর্ণাঢ্য ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এ শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়।

গোবিপ্রবি: নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়েছে।

সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ অনুষ্ঠিত হয়। কুলা-চালুন, শখের হাঁড়ি, কলসি ও তালপাখা হাতে শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে প্রশাসনিক ভবন চত্বরে নির্মিত ফটোফ্রেমের সামনে ছবি উঠিয়ে আনন্দ উদযাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের সভাপতি, প্রক্টর, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

ময়মনসিংহ: পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহে আনন্দ শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন ও নববর্ষ উদযাপন পরিষদ। সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নগরীর ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয় থেকে বিশাল বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জয়নুল আবেদিন পার্কের বৈশাখী মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি আবু বকর সিদ্দিক, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নরসিংদী: নানা আয়োজনে আনন্দঘন পরিবেশে নতুন বর্ষকে বরণ করে নিয়েছে নরসিংদীবাসী। ঢাক, ঢোলসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে মেতে উঠেছে উৎসব আর আনন্দ আয়োজনে।

সকালে নরসিংদী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নরসিংদী সার্কিট হাউসের সামনে থেকে বার্ণাঢ্য এক আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় গ্রাম-বাংলার আবহমান নানা ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী, পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান, সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ মোহাম্মদ আমিরুল হকসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।

পাবনা: পাবনায় বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ বর্ণিল আয়োজনে পালিত হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠন নানাভাবে পহেলা বৈশাখ বরণের আয়োজন করে।

সকালে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার বের করে। শোভাযাত্রাটি উপজেলা চত্বর থেকে ঈশ্বরটির প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডাকবাংলা এসে শেষ হয়। অনুষ্ঠিত হয় লোকজ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাস, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব।

ঠাকুরগাঁও: সকাল ৬টা থেকে নিক্কন সঙ্গীত একাডেমির পক্ষ থেকে ঠাকুরগাঁও বটমূলে সঙ্গীত পরিবেশন ও নিত্য প্রদর্শনসহ কবিতা আবৃত্তি করা হয়। জেলা প্রশাসকের আয়োজনে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

এ ছাড়াও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে বাংলার চিরচারিত ঐতিহ্য মাটির তৈরি জিনিসপত্র, হাত পাখা, বাঁশের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী, পাপোশ, শতরঞ্জিসহ বিভিন্ন সামগ্রীর পশরা সাজিয়েছে দোকানিরা।

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে ১৪৩২ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন থেকে সকালে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে জনসেবা চত্বরে এসে শেষ হয়। এ সময় বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে লোকজ মেলা উদ্বোধন করে জেলা প্রশাসক শরীফা হক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, পৌর প্রশাসক শিহাব রায়হান প্রমুখ।

অন্যদিকে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলা শুভ নববর্ষ পহেলা বৈশাখ-১৪৩২ পালন করা হয়েছে। সকাল ১০টায় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ-এর নেতৃত্বে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।

সুনামগঞ্জ: সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। গণমাধ্যমকর্মী দেওয়ান গিয়াস চৌধুরীর সঞ্চালনায় শুরুতেই সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষার্থীরা। পরে এসো হে বৈশাখ সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. তোফায়েল আহমেদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল, সিভিল সার্জন ডা. জসিম উদ্দিন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. নুরুল ইসলাম নুরুল, আনিসুল হক, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মনির উদ্দিন মনিরসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা।

পরে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমির পাশে নতুন শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য লাঠি খেলা, সাপের খেলা এবং কুস্তি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়াও বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমির পাশে নতুন শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক আয়োজন করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া: নানা আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করেছে কুষ্টিয়াবাসী। সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কুষ্টিয়া পৌরসভার বিজয় উল্লাস চত্বর থেকে এক শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহর প্রদিক্ষণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

সেখানে গান ও নাচের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে তিনদিনের মেলা বসেছে কালেক্টটরেট চত্বরে।

এ দিকে নতুন বছর বরণ করতে র‌্যালিতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও নানা শ্রেণির পেশার মানুষ অংশ নেন।

এ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন জায়গায় দিনব্যাপী সরকারি, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

বাগেরহাট: বাগেরহাটে পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকালে জেলা স্টেডিয়াম থেকে শুরু একটি আনন্দ শোভাযাত্রা র‌্যালি। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আলোচনা সভা হয়।

আনন্দ শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান, বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ। এ আনন্দ শোভাযাত্রায় সরকারি, বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীসহ শিক্ষক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেন।

যশোর: বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষ্যে যশোরে বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যশোর জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে জেলার চারুপীঠসহ অন্তত ৩০টি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।

সকাল সাড়ে ৯টায় যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে ঐতিহ্যবাহী বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঈদগাহ ময়দানে সামনে এসে শেষ হয়।

এর আগে জেলা কালেক্টরেট ভবনের সামনে জাতীয় সঙ্গীত ও এসো হে বৈশাখ সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। তাছাড়া একই মঞ্চে ১৯৮৫ সালে দেশের মধ্যে প্রথম এ শোভাযাত্রা শুরু কয়ার চারুপীঠ ও তার অধ্যক্ষ মাহবুব জামাল শামীমকে সম্মাননা ও ৫০ হাজার টাকা সম্মাননা দেয় জেলা প্রশাসন।

আনন্দ শোভাযাত্রা ও অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার রওনক জাহান, বিএনপির বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। এ ছাড়াও রাজনৈতিক নেতা, সুধীমহল, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক দলসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

নোয়াখালী: শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে নোয়াখালীতে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন করা হচ্ছে।

সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে বের করা হয় পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রা। র‌্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় সঙ্গীত ও এসো হে বৈশাখ গানের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

র‌্যালিতে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, পুলিশ সুপার আবদুল্যাহ আল ফারুকসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

চবি: পহেলা বৈশাখ হোক অঙ্গীকার, আমাদের সংস্কৃতি আমাদের অধিকার ‘প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলা নববর্ষে বৈশাখী শোভাযাত্রা করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে এ শোভাযাত্রা শুরু হয়। এরপর জিরোপয়েন্ট থেকে শুরু করে জারুলতলায় এসে শেষ হয়।

বৈশাখী শোভাযাত্রায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নানা রঙের ফেস্টুন, বাঘ, পেঁচার মুখোশসহ শাড়ি, পাঞ্জাবি, গামছা পরিহিত অবস্থান অংশ নিতে দেখা যায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

সিলেট: শোভাযাত্রা, এসো হে বৈশাখ এসো এসো, বাজে রে বাজে ঢোল আর ঢাঁক, এলোরে পহেলা বৈশাখ গান আর নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করেছে সিলেটবাসী।

এদিন সকাল ৮টায় সিলেট সার্কিট হাউসের সামনে থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শোভাযাত্রাটি নগরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে সুবিদবাজারে ব্লু-বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এদিকে বাংলা নতুন বর্ষকে বরণ করতে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রুতি-সিলেট প্রতিবারের মতো এবারো আয়োজন করেছে ‘শ্রুতি বর্ষবরণ উৎসব-১৪৩২ বাংলা’। উৎসবে সঙ্গীত-নৃত্য পরিবেশন করে- রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সিলেট, গীতবিতান বাংলাদেশ, সিলেট ললিত কলা একাডেমি, দ্বৈতস্বর, নৃত্যশৈলী, ললিত মঞ্জরী, সুর ও বানী, সুরসপ্তক, সুরের ভূবন, নৃত্যাঞ্জলি, সিলেট নজরুল সঙ্গীত শিল্পী সংস্থা, সঙ্গীত নিকেতন, মুক্তাক্ষর, পরম্পরা, নৃত্যরথ, অনির্বান শিল্পী সংগঠন।

রবীন্দ্রসঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘আনন্দলোক’ নগরীর কেওয়াপাড়াস্থ শ্রীহট্ট সংস্কৃত কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজন করে ‘বর্ষবরণ উৎসব ১৪৩২’।

সারাবাংলা/এইচআই

‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ বর্ষবরণ বাংলা নববর্ষ বাংলা নববর্ষ ১৪৩২

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর