যুক্তরাষ্ট্রে বিরল খনিজ রফতানি বন্ধ করল চীন
১৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৪৪ | আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৫৮
যুক্তরাষ্ট্রের বিরল কয়েকটি খনিজ পদার্থ এবং চুম্বক রফতানি বন্ধ করেছে চীন। এই দুই দেশের চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, বাণিজ্য যুদ্ধ মোকাবিলা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে আলোচনা করেছে চীনের সরকার। চীন থেকে কোন কোন জিনিস রফতানি করা হবে তা নিয়ে একটি নতুন বিধিমালা ব্যবস্থার খসড়া তৈরি করেছে চীন প্রশাসন।
এর মধ্যে বিরল খনিজ এবং চুম্বকের অন্তর্ভুক্ত। একবার এই নতুন ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলে কয়েকটি কোম্পানিসহ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কনট্রাক্টরদের জন্যও স্থায়ীভাবে এই খনিজ এবং চুম্বক রফতানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সরবরাহের ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে হুমকির মুখে পড়তে পারে অটোনির্মাতা থেকে শুরু করে অ্যারোস্পেস নির্মাতা, সেমিকন্ডাকটর কোম্পানি এবং সামরিক কন্ট্রাক্টাররাও।
গাড়ি থেকে শুরু করে ড্রোন, রোবোট এবং ক্ষেপণাস্ত্রসহ অনেক কিছু তৈরিতেই চুম্বক অপরিহার্য। চীন প্রশাসন ইতোমধ্যেই বিভিন্ন চীনা বন্দরে চুম্বকের চালান পাঠানো বন্ধ করেছে।
সেই সঙ্গে বিরল খনিজ পদার্থও রফতানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এই খনিজ বৈদ্যুতিক গাড়ি থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
উল্লেখ্য, চীন থেকে সবচেয়ে বেশি বিরল খনিজ এবং চুম্বক আমদানি হওয়ায় চাপের মুখে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীন এই দুই জিনিস রফতানি না করলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিল্প।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প গত ২ এপ্রিল থেকে চীনের পণ্যে যে শুল্ক কার্যকর করেছেন তার জবাবেই চীনের এমন পদক্ষেপ।
চীন সরকার গত ৪ এপ্রিলেই ছয়টি বিরল ভারী ক্ষারমৃত্তিকাসহ বিরল চুম্বক রফতানিতে কঠোরতা দেখায়। এই বিরল ক্ষারমৃত্তিকাগুলো কেবল চীনেই পরিশোধন করা হয়। আর বিরল চুম্বকগুলোর ৯০ শতাংশই চীনে উৎপাদিত হয়
এই খনিজ এবং চুম্বকগুলোর চালান এখন কেবল বিশেষ রফতানি লাইসেন্স থাকলেই চীনের বাইরের কোনও দেশে যেতে পারবে। আর বাণিজ্য যুদ্ধ চলার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এই লাইসেন্স পাওয়া এখন কঠিন ব্যাপার। তবে চীন এখনও এই লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া তেমনভাবে শুরু করেনি।
সারাবাংলা/এসডব্লিউ