দুর্নীতির মামলায় এভিয়েটের নুরুল আমিনের ৮ বছর কারাদণ্ড
১৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৫৮ | আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ২১:৪৩
দুর্নীতির মামলায় এভিয়েট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মালিক নুরুল আমিনকে মঙ্গলবার আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে
ঢাকা: দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এভিয়েট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মালিক নুরুল আমিনকে দুই ধারায় মোট ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৯৩ লাখ ২২ হাজার টাকার সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক জাকারিয়া হোসেন।
জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জন করায় নুরুলকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডসহ ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া তথ্য গোপনের অভিযোগে তাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তিন মাস সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। এজন্য তাকে সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছর কারাগারে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৯ জুলাই সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের জন্য নুরুল আমিনকে নোটিশ পাঠায় দুদক। ২০১০ সালের ২২ আগস্ট সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেন তিনি। হিসাব বিবরণীতে ৭ কোটি ৫৩ লাখ ৮৬ হাজার ১২৭ টাকার সম্পদ দাখিল করা হয়। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭৬ লাখ ১৪ হাজার ৮২৭ টাকার স্থাবর ও ৭৭ লাখ ৭১ হাজার ৩০০ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। পরে দুদকের পর্যালোচনায় তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৯২ লাখ ৮১ হাজার ১৭ টাকার জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য উঠে আসে।
এ ঘটনায় ২০১১ সালের ৭ আগস্ট রমনা মডেল থানায় মামলা করেন দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক আবদুল আজিজ ভূঁইয়া। মামলাটি তদন্ত করে ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দেন তিনি। ২০২১ সালের ৫ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ এ রায় দেন বিচারক।
সারাবাংলা/আরএম/আরএস