‘ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে ২ হাজার কোটি টাকা খরচ বেড়েছে’
১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:২০ | আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:০২
ঢাকা: বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করায় বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা খরচ বেড়েছে। এটি কমিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বুধবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চড়া শুল্ক আরোপের চ্যালেঞ্জ ও সরকারের করণীয় বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করায় বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের খরচ বেড়েছে। টাকার হিসাবে যেটি প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। এটি কমিয়ে আনতে নানা ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। ভারত, পাকিস্তান বা চীন কোনো দেশ আলাদা করে নয়, সব দেশের সঙ্গেই সরকার বাণিজ্য বাড়াতে চায়।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে এক পেশে শুল্ক আরোপ করেছে সেটি অবশ্যই দুশ্চিন্তার বিষয়। তবে তারা তিন মাসের জন্য এই শুল্কারোপ স্থগিত রেখেছে। এ সময়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি দ্রুত কমানোর কোনো সুযোগ নেই। তবে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সরকার কাজ করছে। অর্থনৈতিক সক্ষমতা এবং বাণিজ্যিক সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৯ জুন বাংলাদেশ ও ভারতের মাঝে সংগঠিত চুক্তি অনুযায়ী ট্রান্সশিপমেন্ট প্রক্রিয়ায় ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় কোনও দেশে পাঠানো যাবে। অর্থাৎ, পণ্য পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ ভারতের সমুদ্র বা বিমান বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। ভারত সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী বাংলাদেশকে এই সুবিধা দেওয়ায় দেশটির বিমানবন্দর এবং অন্য বন্দরগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে তীব্র জট তৈরি হয়েছিলো, যে কারনে বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করা হয়েছে বলে সম্প্রতি জানিয়ে দেওয়া হয়।
মতবিনিময়ে বাজারে চালের দাম নিয়েও কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। চালের দাম বাড়তি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সরকারি গুদামে চালের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বাজারে নতুন ধানের চাল আসতেই আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চালের দাম কমে আসবে।
সারাবাংলা/জেআর/এনজে